নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে সব সূচক বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে গতকাল রোববারের লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কমে ৫০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও শেয়ার কেনার চাপ বেশি ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটি দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল। অপরদিকে উত্থানেও বিনিয়োগকারীরা তিন খাতের প্রতি বিমুখ ছিলেন, ফলে শুধু আলোচ্য খাত তিনটিতে শেয়ারদরে পতন হয়েছে। শেয়ার বিক্রির চাপ বেশি ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল কাগজ খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ২ দশমিক ২০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৫টির দর বেড়েছে এবং ১টির দর অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় স্থানে ছিল আইটি খাতের শেয়ার। এ খাতের দর বেড়েছে ১ দশমিক ৮০ শতাংশ। খাতটিতে মোট ১১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৫টির দর বেড়েছে এবং ৩টির দর অপরিবর্তিত ছিল। ১ দশমিক ৫০ শতাংশ দর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল ট্যানারি খাতের শেয়ার। খাতটিতে মোট ৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৪টির দর বেড়েছে এবং ১টির দর কমেছে। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, মিউচুয়াল ফান্ড, প্রকৌশলী, সিমেন্ট এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় ভ্রমণ খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ২ শতাংশ। এরপরের স্থানে থাকা পাট খাতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ। আর শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল ব্যাংক খাত।
অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আইটি খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২০ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হওয়া বিবিধ খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে ৫৩১ কোটি ৮৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৬৬৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২১৭ দশমিক ৭৯ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক দশমিক ৩৪ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক ৩ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ২০৯ দশমিক ৭৭ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৫২ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৪টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৮৩টি এবং কমেছে ৪৬টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৯৫টির।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার। আগের কার্যদিবসে ৯৬ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৩৭টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৫২টির, কমেছে ১৯টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৬৬টির।
এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২৯ দশমিক ৯২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩১৮ দশমিক ২৭ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ৯১ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ১২ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স ১৮ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট ও সিএসআই ১ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩১৪ দশমিক ৩০ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৫৪ দশমিক ৮০ পয়েন্টে, ১০ হাজার ৯৮১ দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্টে ও ১ হাজার ১৫১ দশমিক ৩৯ পয়েন্টে।