উত্থানের দিনেও শুধু কাগজ খাতে বিমুখ

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় টাকার অঙ্কে লেনদেন বেড়ে সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচক উত্থানে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও কেনার চাপ বেশি ছিল সেবা ও আবাসন খাত। ফলে এদিন আলোচ্য খাতটিতে দর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। অপরদিকে এদিন বিনিয়োগকারীদের বিমুখ ও শেয়ার বিক্রির চাপ বেশি ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাতে। ফলে আলোচ্য খাতের দর সবচেয়ে বেশি কমেছে। এছাড়া গতকাল আর কোনো খাতের দর কমেনি। ফলে আলোচ্য খাতেই শুধু বিনিয়োগকারীদের বিমুখ ছিল।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল সেবা ও আবাসন খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ১ দশমিক ৭০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ২টির দর বেড়েছে এবং বাকিগুলোর দর অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় স্থানে ছিল আইটি খাতের শেয়ার। খাতটিতে শেয়ারদর বেড়েছে ১ শতাংশ। শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল সাধারণ বিমা খাত। গতকাল টেলিকমিউনিকেশন, মিউচুয়াল ফান্ড, ব্যাংক, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, ওষুধ ও রসায়ন, সিরামিক, প্রকৌশলী এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ থাকায় কাগজ খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ।

অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৫ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিবিধ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা বস্ত্র খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৭ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৭ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হওয়া জীবন বিমা খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

ডিএসইর তথ্য মতে, এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৯৯ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১ দশমিক ৩ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২ দশমিক ২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৭২ দশমিক ৫২ পয়েন্টে ও দুই হাজার ১৪১ দশমিক ৬১ পয়েন্টে।

ডিএসইতে ৩১৭টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এদের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৮৭টির বা ২৭ দশমিক ৪৪ শতাংশের, দর কমেছে ৬৭টির বা ২১ দশমিক ১৩ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬৩টির বা ৫১ দশমিক ৪২ শতাংশের দর।

এদিন ডিএসইতে ৪৫৬ কোটি ১৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের কার্যদিবস থেকে ৪২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৪১৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার।

এদিন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৮ দশমিক ২৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬৩৩ দশমিক ১৮ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসসিএক্স ১১ দশমিক ০৪ পয়েন্ট, সিএসই-৫০ সূচক ১ দশমিক ১৮ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ১৭ দশমিক ৮২ পয়েন্ট এবং সিএসআই শূন্য দশমিক ১২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১ হাজার ১৩৯ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে, এক হাজার ৩০৮ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৯০ দশমিক ৫৬ পয়েন্টে এবং এক হাজার ১৭৫ দশমিক ১২ পয়েন্টে।

সিএসইতে ১৪৬টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫১টির, কমেছে ৪০টির আর দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৫টি। সিএসইতে ১৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০