নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে গতকাল রোববারের লেনদেন শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় টাকার অঙ্কে লেনদেন বাড়লেও সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার নিচে রয়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচক উত্থানে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও কেনার চাপ বেশি থাকায় ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ারদর বেশি বেড়েছে। অন্যদিকে এদিন উত্থানেও দুই খাতে বিক্রির চাপ বেশি থাকায় আলোচ্য খাত দুটিতেই শুধু পতন হয়েছে। এদিন বিনিয়োগকারীরা বিমুখ ছিলেন কাগজ ও মুদ্রণ খাতে। ফলে খাতটিতে শেয়ার বিক্রির চাপ বেশি ছিল।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ১ দশমিক ৬০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট চারটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে দুটির দর বেড়েছে এবং বাকিগুলোর দর অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় স্থানে ছিল আইটি খাতের শেয়ার। খাতটিতে শেয়ারদর বেড়েছে ১ দশমিক ২০ শতাংশ। শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল সিমেন্ট খাত। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, সিরামিক, প্রকৌশলী, মিউচুয়াল ফান্ড এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ থাকায় কাগজ ও মুদ্রণ খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ। পরের স্থানে থাকা বস্ত্র খাতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ।
লেনদেনের দিক থেকে গতকাল সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৫ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা বিবিধ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৮ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন হওয়া বস্ত্র খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।
ডিএসইর তথ্যমতে, বাজারে ৩১৫টি প্রতিষ্ঠানের মোট সাত কোটি ১৮ লাখ ৫৫ হাজার ১৮৬ শেয়ার ও ইউনিট কেনা-বেচা হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৩৪৪ কোটি ৫৫ লাখ ৪৯ হাজার টাকার। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৯৯ কোটি ৫২ লাখ ৯২ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১০ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৬৫ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস শরিয়াহ্ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৬০ পয়েন্টে। আর ডিএস-৩০ সূচক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১২৬ পয়েন্টে।
এদিন অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক ২৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫০২ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৬৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৩টির, কমেছে ২৬টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৮৮টির দাম।
দিন শেষে সিএসইতে পাঁচ কোটি ৯৮ লাখ ৫৬ হাজার ৩২১ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন ছয় কোটি ৬৪ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬৮ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল।