শোবিজ ডেস্ক: কবরী-ফারুক অভিনীত সত্তর দশকের সাড়া জাগানো সাদাকালো ছায়াছবি ‘সুজন সখী’র ৩৫ মিলিমিটারের একটি প্রিন্ট উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ। আর্কাইভের চলচ্চিত্র সংগ্রাহক মো. ফখরুল আলম গতকাল রোববার রাজধানীর মগবাজার এলাকার একটি বাড়ি থেকে প্রিন্টটি সংগ্রহ করেন।
১৯৭৫ সালের ১০ অক্টোবর মুক্তিপ্রাপ্ত গ্রামীণ গল্পের ছবিটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। জনতা প্রডাকশনের ব্যানারে এ ছবির পরিচালক হলেন প্রমোদকার (খান আতাউর রহমান)। দীর্ঘ বিশ থেকে পঁচিশ বছর পর্যন্ত ছবিটির কোনো প্রিন্ট বা নেগেটিভের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।
১৯৯০-৯১ সালের দিকে সাদাকালো ছবি হলে কম চলায় খান আতাউর রহমানের ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজার সৌমেন বাবু ছবিটি বিক্রি করে দেন প্রদর্শক মিয়া আলাউদ্দিনের কাছে। মিয়া আলাউদ্দিন থেকে ‘সুজন সখী’র একটি মাত্র কপি বেটাকম ক্যাসেটে ক্রয় করে রাখেন মধুমিতা মুভিজের মালিক ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ।
বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে ‘সুজন সখী’র কোনো সেলুলয়েড প্রিন্টের কপি না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়। সম্প্রতি মো. ফখরুল আলম জানতে পারেন, খান আতার অফিস স্টাফ দেলোয়ারের কাছে এ ছবির একটি প্রিন্ট রয়েছে। সে সূত্র ধরে দেলোয়ারের কাছ থেকে ৩৫ মিলিমিটারের ১৩ রিলের সাদাকালো প্রিন্টটি
উদ্ধার করা হয়।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নায়ক ফারুক বলেন, ‘আমিও খুব খুশি। সুজন সখী আমার প্রথম সুপার-ডুপার হিট ছবি। শুধু আমার না বাংলাদেশের সবচেয়ে হিট ছবি, যে যা-ই বলুক না। এটির আগে রূপবান ছিল সবচেয়ে হিট ছবি। সেটিকেও সুজন সখী ছাড়িয়ে গেছে।’
মিয়াভাইখ্যাত এ নায়ক আরও বলেন, ‘আমি প্রথমে ভেবেছিলাম তারা আমার আর কবরীর আশা ছবিটি উদ্ধার করেছে। পরে তারা বললো না, আশা তাদের কাছে আছে।’
ফারুক চান শুধু ‘সুজন সখী’ না বাংলাদেশের সব বিখ্যাত ছবি যেন ফিল্ম আর্কাইভে সংরক্ষণ করা হয়।
‘সুজন সখী’র জন্য ১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার হিসেবে খান আতা, প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসাবে আবদুল আলিম ও সাবিনা ইয়াসমিন প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায়। সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করেন আনোয়ার হোসেন, সুলতানা জামান, রওশন জামিল, মিনু রহমান, খান আতা, টেলি সামাদ ও ইনাম আহমেদ।