ক্রীড়া প্রতিবেদক: ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাস। গতকাল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানেডেও জিম্বাবুয়ের বোলারদের মোকাবিলা করেছেন সহজেই। সে পথে সতীর্থের চেয়ে একটু এগিয়ে ছিলেন লিটন। যে কারণে এ ডানহাতি পাঁচ দিনের ব্যবধানে একই মাঠে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে পেয়ে যায় আরেকটি সেঞ্চুরি। অন্যদিকে তামিমও তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন। তবে তার আগে তারা গড়েন উদ্বোধনী জুটিতে রেকর্ড। আর তাতে রান পাহাড়ের পথে ছুটছিল বাংলাদেশ।
তামিম-লিটন মিলে গতকাল ৪০.৫ ওভারে দলীয় স্কোর বোর্ডে যোগ করেন ২৯২ রান, যা উদ্বোধনী জুটিতে রেকর্ড বুকে নাম লেখায়। এর আগে ১৯৯৯ সালে এই মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে ১৭০ রান করেছিলেন মেহরাব হোসেন অপি ও শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ।
গতকাল বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত লিটন অপরাজিত ছিলেন ১০২ রানে আর তামিম ৭৯ রানে।
বরাবরের মতোই গতকালও লিটন-তামিম শুরুটা করেছিলেন ধীরে। পরে তামিম খোলস ছেড়ে বের হয়েছিলেন। কিন্তু আবার এ ওপেনার পথ চলতে শুরু করেন ধীরে। ঠিক সে সময় স্বরূপে ফেরেন লিটন। প্রতিপক্ষ বোলারদের ওপর ঝড় তুলে সতীর্থের আগে ৫৪ বলে ৭ চারে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। এর কিছুক্ষণ পরই তামিম স্পর্শ করেন ব্যক্তিগত ৫০ রানের ছোট মাইলফলক। এজন্য এ ওপেনার খেলেন ৬০ বল। চার হাঁকান ৩টি আর ছয় দুটি। এর আগেই অবশ্য তারা ১৮.২ ওভারে সেঞ্চুরি জুটি গড়েন। তাতে বাংলাদেশের রানের চাকাও দ্রুত ঘুরতে থাকে।
হাফসেঞ্চুরির পর লিটন আরও দ্রুত রান তুলতে থাকেন। একপর্যায়ে এ ১১৪ বলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরির পূর্ণ করেন। এজন্য তিনি চার হাঁকান ১৩টি। এদিকে তামিম ইকবাল নিজের মতো খেলে পৌঁছে যান ৮৪ বলে ৩ চার ও ৪ ছয়ে ৭৯ রানে। ঠিক সে সময়ই সিলেটে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। পরে সেটাই রূপ নেয় মুশুলধারে। যে কারণে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত খেলা বন্ধ ছিল।
এর আগে গতকাল অধিনায়ক মাশরাফির শেষ ম্যাচে টস হেরে চারটি পরিবর্তন নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। মুশফিক ও আল আমিনকে দেওয়া হয়েছে বিশ্রামে। শফিউলের বাবা অসুস্থ তাই তাকে রাখা হয়নি স্কোয়াডে। এদিকে নাজমুল হোসেন শান্ত হালকা চোটে পড়ায় তাকে নিয়ে ঝুঁকি নেয়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। দলে কে আছে না আছে সেটা তো বৃষ্টির আগ পর্যন্ত বুঝতেই দেননি তামিম-লিটন। দুজনে যা করার করে দলকে জয়ের পথ তৈরি করে দিয়েছেন।