অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামের ষষ্ঠ পর্বে স্টার্টআপদের কাছে আবেদনের আহ্বান করেছে গ্রামীণফোন অ্যাকসেলারেটর।বিক্রিযোগ্য কোনো পণ্য বা সেবা রয়েছেএমন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘সিডস্টার’-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রোগ্রামে অংশ নিতে পারবে।
গ্রামীণফোন অ্যাকসেলারেটর একটি উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্ম। এতে দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষক ও বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় সাড়ে চার মাসের কারিকুলামভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে প্রাথমিক মূলধনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার মাধ্যমে স্টার্টআপগুলোকে ব্যবসা শুরু করার উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়। বাছাই করা স্টার্টআপগুলোকে মালিকানাস্বত্ব ছাড়াই মূলধন হিসেবে পাঁচ হাজার ডলার দেওয়া হবে। এছাড়া সব স্টার্টআপকে ১১ হাজার ২০০ ডলার সমমানের আমাজন ওয়েব সার্ভিস ক্রেডিট সহায়তা, জিপি হাউজে কাজের সুবিধাসহ আরও নানাভাবে সহায়তা করা হয়। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত স্টার্টআপগুলো টাকার হিসাবে প্রায় ৬৫ লাখ টাকা সমমানের সহায়তা পেয়ে থাকে এ আয়োজনে।
অ্যাকসেলারেটর প্রোগ্রামে নির্বাচিত উদ্যোক্তারা তাদের ধারণাকে ব্যবসা উপযোগী করে গড়ে তোলা ও ব্যবসার পরিসর বাড়াতে দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষক এবং বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে টার্ম শিট, ভ্যালুয়েশন, ফাইন্যান্সিয়াল মডেলিং, ব্র্যান্ডিংয়ের মতো বিষয়গুলোয় প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়ে থাকেন। এছাড়া এ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীর সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের সুযোগ রয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতিতে ইনভেস্টর নেটওয়ার্কিং আয়োজনের মাধ্যমে শেষ হবে অ্যাকসেলারেটর প্রোগ্রাম। এতে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী, অংশীদার ও সম্ভাব্য ক্রেতার সামনে নিজেদের পণ্য উপস্থাপনের সুযোগ পায় স্টার্টআপগুলো। অ্যাকসেলারেটর প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে ব্যবসার ভ্যালুয়েশন আগের ভ্যালুয়েশনের চেয়ে গড়ে চারগুণ হারে বৃদ্ধি পায়।
গ্রামীণফোন লিমিটেডের হেড অব ডিজিটাল ডিভিশন সোলাইমান আলম বলেন, গত চার বছরে আইসিটি খাতে অভাবনীয় প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। দ্রুতগতিতে গড়ে উঠছে টেকসই স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম। সরকারসহ নানা শিল্প খাতের বিশেষজ্ঞ ও প্রশিক্ষকরা উদ্যোক্তা তৈরিতে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছেন। স্টার্টআপকে পণ্য কিংবা সেবার বাজার তৈরি, প্রয়োজনীয় সংযোগ ও সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার মতো আকর্ষণীয় সম্পদের সংস্থান করে দেয় জিপি অ্যাকসেলারেটর।
জিপি অ্যাকসেলারেটর এরই মধ্যে পাঁচটি ব্যাচ সম্পন্ন করেছে। এখন পর্যন্ত ২৬ স্টার্টআপ অংশ নিয়েছে। আগের ব্যাচগুলোর সফল স্টার্টআপের মধ্যে রয়েছে: সেবা এক্সওয়াইজেড, সিমেড হেলথ, রেপটো, আমারটাকা, অল্টারইয়ুথ, পার্কিং কই প্রভৃতি। কয়েকটি স্টার্টআপ ডিজিটাল উইনার এশিয়া, সিডস্টার্স ওয়ার্ল্ড, শ্লাশ জিআইএ, স্টার্টআপ গ্রাইন্ড,
বাংলাদেশ স্টার্টআপ অ্যাওয়ার্ড ও ন্যাশনাল ডেমো ডে’র মতো স্থানীয় এবং
আন্তর্জাতিক পর্যায়ের কয়েকটি প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছে।
আগ্রহী স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের জিপি অ্যাকসেলারেটর প্রোগ্রাম সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার জন্য কিছু আউটরিচ সেশনের আয়োজন করা হয়। এ প্রোগ্রাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন িি.িভধপবনড়ড়শ.পড়স/মঢ়ধপপবষবৎধঃড়ৎ ওয়েবসাইটে।
মন্তব্য