উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা: প্রসঙ্গ নারীর স্বাচ্ছন্দ্য

মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির: স্যানিটেশন হলো নিরাপদ খাওয়ার পানি এবং মানববর্জ্য ও ব্যবহƒত পানির যথাযথ নিষ্কাশন-সংক্রান্ত গণস্বাস্থ্য ব্যবস্থা। স্যানিটেশন ব্যবস্থার উদ্দেশ্যই হলো পরিচ্ছন্ন পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষের সুস্বাস্থ্য রক্ষা করা, যাতে জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যায়। শিশুর অপুষ্টি ও শারীরিক বিকাশ বাধাগ্রস্ততার অন্যতম কারণ অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন, যা উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে কমানো সম্ভব। স্যানিটেশন ব্যবস্থা দুর্বল, এমন স্থানে বিভিন্ন রোগজীবাণু সহজে ছড়ায়। তাই সুস্বাস্থ্যের জন্য উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই।

ভালো অভ্যাস গড়ে তোলার উত্তম সময় হলো শিশু-কিশোরদের ছোটবেলা ও কৈশোরকাল। ভালো অভ্যাস গড়ে তোলার বিষয়ে পরিবার ও বিদ্যালয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য। স্বাস্থ্যকর স্যানিটেশনে অভ্যস্ত হওয়া ভালো অভ্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম। স্বাস্থ্যকর স্যানিটেশন সুস্থতার জন্য অতি জরুরি। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে জীবাণু মানবদেহে প্রবেশ করে বিভিন্ন রোগ তৈরি করে, যার থেকে হতে পারে স্বল্প বা দীর্ঘকালীন বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যকর দিক বিবেচনায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উন্নত ও স্বাস্থ্যকর স্যানিটেশন ব্যবস্থার ওপর গুরুত্বারোপ ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, যা খুবই জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যালয়ে যদি পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর স্যানিটেশন ব্যবস্থা না থাকে, সেক্ষেত্রে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে যাওয়ার আগে অপেক্ষাকৃতভাবে কম পানি পান করে। এমনকি অস্বস্তিকর পরিবেশ এড়াতে পায়খানা-প্রস্রাব চেপে রাখে, যা একসময় ইনফেকশনসহ অন্যান্য বিভিন্ন রোগের কারণ হয়েও দাঁড়ায়।

সরকার ও কর্তৃপক্ষ অনেক টাকা খরচ করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার নির্মাণ করে দিলেও স্বল্প সময়ের ব্যবধানে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এবং অবহেলায় এর মান নষ্ট হয়ে যায়। বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শৌচাগার পরিবেশ অত্যন্ত নোংরা। বদনা ও কমোড নোংরা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাবান রাখার কেস থাকলেও এতে সাবান থাকে না। কোনো টয়লেটেই নেই শৌচাগার টিস্যু বা তোয়ালে। দরজার ভেতরের ছিটকিনির রিং ভাঙা। পয়োনিষ্কাশনের বেসিন, পানির পাইপ ও অন্যান্য সামগ্রীর সবই ভাঙা। শৌচাগারগুলোয় মেয়েদের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন বা কাপড় বদলানোর নিরাপদ পরিবেশ নেই। ফলে বিশেষ সময়গুলোয় বেশিরভাগ মেয়েই শৌচাগারের বাজে অবস্থার কারণে অসুখের কথা বলে ছুটি নিয়ে বাসায় চলে যেতেও বাধ্য হয় অনেক ক্ষেত্রে।

আমাদের দেশে শিশুদের পিইসি থেকে শুরু করে বড়দের স্নাতকোত্তর বা সমমান অন্যান্য পাবলিক পরীক্ষা বা বিভিন্ন ভর্তি বা চাকরির জন্য কেন্দ্রভিত্তিক পরীক্ষা হয়ে থাকে। দু-চার ঘণ্টা পরীক্ষা চলাকালে এবং আগে-পরে দু-এক ঘণ্টা যুক্ত করলে মোট পাঁচ-ছয় ঘণ্টা সময় পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে অবস্থান করতে হয়। সেক্ষেত্রে শৌচাগার স্বল্পতা ও স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগারের অভাব প্রকট আকার ধারণ করে। বিশেষ করে ছাত্রীদের জন্য হয়ে ওঠে বিশাল এক অস্বস্তিকর বিষয়। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা থাকলেও শিক্ষার্থীদের জন্য তা ব্যবহারের সুযোগ নেই। ফলে অনেক ছাত্রছাত্রীই বাধ্য হয়ে এই অস্বাস্থ্যকর শৌচাগার ব্যবহার করে। কম-বেশি অনেকেরই এ বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতা রয়েছে।

রাজধানীসহ সারাদেশের বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পরীক্ষাকেন্দ্রের শৌচাগারের চিত্র প্রায় একইÑনোংরা আর স্যাঁতসেঁতে, নিয়মিত পরিষ্কার না হওয়ায় দুর্গন্ধযুক্ত। বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেও তাতে বাল্ব কবে লাগানো হয়েছে, বোঝা মুশকিল। অনেক ক্ষেত্রে সকেট ভেঙে বিদ্যুতের তার এমনভাবে ঝুলে থাকে যে একটু অসাবধানতায় ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। ভাঙা দরজা ও ছিটকানি অনেক ক্ষেত্রেই অকেজো, কোনো রকমে টেনেটুনে দরজা লাগাতেই শৌচাগারের ভেতরটায় নেমে আসে ঘুটঘুটে অন্ধকার। অনেক ক্ষেত্রে কমন বাথরুম থাকলেও মেয়েদের জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থা নেই। এতে করে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। মেয়েদের সমস্যা হয় সবচেয়ে বেশি। অনেক ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ ব্যবস্থা না থাকায় মেয়ে শিক্ষার্থীরা ঋতুকালীন বিভিন্ন পরীক্ষা ও প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা থেকেও নিজেদের বিরত রাখে।

শিক্ষার্থীদের বাইরেও আরেকটা বড় অংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত, আর তারা হলেন অভিভাবক। সন্তানদের স্কুল, কোচিং বা পরীক্ষাকেন্দ্রে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করেন অভিভাবকরা। তাদের একটা বৃহৎ অংশ হচ্ছেন নারী অভিভাবক। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আশেপাশে দোকান বা বাজারে সময় অতিবাহিত করতে হয় তাদের। কিন্তু তাদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আলাদা কোনো শৌচাগার নেই। পুরুষ অভিভাবকরা মসজিদ-মাদরাসা, রেস্তোরাঁ, বিভিন্ন খোলা স্থান ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাবলিক শৌচাগার ব্যবহারের সুযোগ পেলেও নারী অভিভাবকরা থাকেন আতঙ্ক আর অস্বস্তিতে। তাদের ভরসা শুধু আশেপাশে হোটেল-রেস্তোরাঁর অস্বাস্থ্যকর ও অস্বস্তিকর শৌচাগার ব্যবস্থা। অপর্যাপ্ত টয়লেট অথবা গণশৌচাগার থাকলেও দূরবর্তী হওয়ায় এর সুফল নারী অভিভাবকরা ঠিকমতো পান না।

শিক্ষার্থী ও নারী অভিভাবকদের ভোগান্তি থেকে রক্ষা করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও যেমন স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন, তেমনি প্রতিষ্ঠানের বাইরেও স্বাস্থ্যকর গণশৌচাগারের ব্যবস্থা করা জরুরি।

দেশের বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ছাত্রীদের জন্য পৃথক শৌচাগার নেই। থাকলেও হাত ধোয়ার ব্যবস্থা স্বাস্থ্যসম্মত নয়, যদিও প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৩-এর লক্ষ্য ছিল ২০১৭-র জুনের মধ্যে দেশের ৯৫ শতাংশ সরকারি স্কুলে মেয়েদের জন্য পৃথক পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় ছাত্রীদের জন্য পৃথক শৌচাগার রয়েছে ৩২ দশমিক ছয় শতাংশ। অর্থাৎ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর প্রায় ৬৭ শতাংশ ছাত্রীই এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এর মধ্যে আবার ১৮ শতাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়েই কোনো শৌচাগার নেই। (সূত্র: যুগান্তর, ১৬ অক্টোবর ২০১৮)।

২০১৪ সালের স্থানীয় সরকার বিভাগের পলিসি সাপোর্ট ইউনিটের উদ্যোগে ন্যাশনাল হাইজিন বেসলাইন সার্ভে করেছিল আন্তর্জাতিক উদরাময় রোগ গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআর,বি)। স্বাস্থ্যবিধি চর্চার বিষয়ে ধারণা পেতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে করা এ জরিপে সহযোগিতায় ছিল ওয়াটার এইড বাংলাদেশ। এতে দেখা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় গড়ে ১৮৭ শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে একটি শৌচাগার, যেখানে সরকারি মানদণ্ডের প্রতি ৫০ ছাত্রীর জন্য পৃথক শৌচাগার ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে। আবার স্কুলগুলোর ৫৫ শতাংশ শৌচাগার তালাবদ্ধ থাকে। খোলা থাকা শৌচাগারগুলোর মধ্যে মাত্র ২৪ শতাংশ ব্যবহারের উপযোগী। এছাড়া ছাত্রীদের জন্য আলাদা শৌচাগার আছে কেবল ১১ শতাংশ স্কুলে। আর ঋতুকালীন ব্যবস্থাপনা রয়েছে মাত্র তিন শতাংশ স্কুলে। তাই ৮৬ শতাংশ ছাত্রী এ সময় বিদ্যালয়ে আসতে চায় না। এসব চিত্র দেখে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের জন্য আলাদা শৌচাগারের ব্যবস্থা করার নির্দেশ প্রদান করা হয়। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নত করতে ২০১৫ সালে একটি পরিপত্রও জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে ছাত্রীদের জন্য আলাদা শৌচাগারের ব্যবস্থা রাখার পাশাপাশি ঢাকনাযুক্ত প্লাস্টিকের পাত্র রাখা এবং ঋতুকালীন বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য একজন নারী শিক্ষিকাকে দায়িত্ব দেয়ায় কথা বলা আছে। প্রয়োজনে টাকার বিনিময়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন রাখা বিষয়েও নির্দেশনা দেয়া আছে এতে। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা মানা হচ্ছে না। এজন্য অবশ্য স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটি, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভাব রয়েছে বলে জানায় স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডরপ। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে নোংরা শৌচাগার বড় বাধা। সেটা কাটিয়ে উঠতে অবশ্য পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিয়েছি। ২০২৩ সালের মধ্যে সব প্রাথমিক স্কুলে ছেলেমেয়েদের জন্য আলাদা শৌচাগার নির্মাণ করা হবে। এরই মধ্যে ৫০ শতাংশ স্কুলে সে কাজ শেষ হয়েছে।’ (সূত্র: সাম্প্রতিক দেশকাল, ১৭ মার্চ ২০২০)। মাননীয় মন্ত্রীর এই বক্তব্য অবশ্যই আশাব্যঞ্জক। এর সঠিক বাস্তবায়ন হলে নারীসহ সারাদেশের মানুষ নিশ্চয় এর সুফল পাবে।

শহরগুলোয় জনসংখ্যার তুলনায় গণশৌচাগারের সংখ্যা কম। পুরোনো পাবলিক টয়লেটের মান খুব খারাপ, প্রায় ব্যবহারের অনুপযোগীÑঅপরিষ্কার ও দুর্গন্ধযুক্ত। পুরুষরা কোনোভাবে এসব শৌচাগার ব্যবহার করতে পারলেও নারী ও শিশুরা তা ব্যবহার করতে পারছে না। অনেক ক্ষেত্রে মাদকসেবীদের উপদ্রবের কারণেও গণশৌচাগার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকে নারীরা। দেশের বিভিন্ন শহরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নারীবান্ধব স্বাস্থ্যকর গণশৌচাগার নির্মাণ করা অতীব জরুরি। দেশের উন্নয়নে ও নারীর অগ্রগতিতে স্বাস্থ্যকর স্যানিটেশনের পর্যাপ্ত ও সহজতর নিরাপদ ব্যবস্থা থাকা এখন বাস্তবসম্মত ও সময়ের দাবি।

সরকার নারীদের শিক্ষামুখী করার লক্ষ্যে যুগান্তকারী বিভিন্ন পদক্ষেপ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় দেশে ক্রমেই নারী শিক্ষার হার বাড়ছে। বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) দেশের শিক্ষার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে একটি সমীক্ষা প্রকাশ করেছে। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে মোট ছাত্রছাত্রীর প্রায় ৫১ শতাংশ ছাত্রী। মাধ্যমিক শিক্ষা পর্যায়ে মোট শিক্ষার্থীর ৫৪ শতাংশের বেশি ছাত্রী। এইচএসসি পর্যায়ে মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা কিছুটা এগিয়ে থাকলেও এক্ষেত্রে সমতা প্রায় প্রতিষ্ঠার পথে। ওই স্তরে ছাত্রীর অংশগ্রহণের হার ৪৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ। বিগত সময়ের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি), জেএসসি-জেডিসি এবং এসএসসি পরীক্ষার পরিসংখ্যানেও দেখা গেছে, অংশগ্রহণই শুধু বেশি নয়, সফলতা অর্জনের দিক থেকেও নারীরা এগিয়ে রয়েছে। (সূত্র: যুগান্তর, ১ এপ্রিল ২০১৮)। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘রিপোর্ট অন বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস, ২০১৮’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে বর্তমান সাক্ষরতার হার ৭৪ শতাংশ। নারীদের শিক্ষার হার ৭১ দশমিক ২ শতাংশ। (সূত্র: উইমেননিউজ ২৪, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯)। স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা তাই নারীদের অগ্রাধিকার এবং অধিকারও বটে।

সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নারীদের অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো। অস্বাস্থ্যকর স্যানিটেশন ব্যবস্থায় নারীর অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করে রাখা যাবে না। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার সার্ভে রিপোর্টের মাধ্যমে যে চিত্র উঠে এসেছে, তার মর্মার্থ অনুধাবন করে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে ও সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নারীশিক্ষা ও নারীর অগ্রগতির জন্য স্বাস্থ্যকর স্যানিটেশন ব্যবস্থায় করণীয় নির্ধারণ এবং কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ ও পালন করা অতীব জরুরি। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্তৃপক্ষের সচেতন দৃষ্টি নারীশিক্ষায় স্বাস্থ্যকর স্যানিটেশন ব্যবস্থা কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। প্রয়োজনে সরকার আরও কঠোর হয়ে স্বাস্থ্যকর স্যানিটেশন ব্যবস্থা জোরদার, কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করতে পারে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ গণশৌচাগারগুলো উš§ুক্ত ও স্বাস্থ্যসম্মত করতে এর কোনো বিকল্প নেই।  

পিআইডি নিবন্ধ

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০