Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 12:30 pm

উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

শেয়ার বিজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে বাংলাদেশ আজ যে অবস্থানে পৌঁছেছে সেই উন্নয়নের ধারাটা যেন অব্যাহত থাকে। গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) নিয়মিত সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মাধ্যমে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রের এই বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। খবর: বাসস।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চিরদিন আমিও থাকব না, কিন্তু বাংলাদেশের এ উন্নয়নের অগ্রযাত্রা যেন ব্যাহত না হয়, এটাই আমি চাই। আমরা যেন এগিয়ে যেতে থাকি এবং যে আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশ গড়ে উঠেছিল, সেই আদর্শ যেন বাস্তবায়ন করতে পারি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদেশের প্রতিটি গৃহহীনকে ঘর করে দেয়া, খাদ্য নিরাপত্তা প্রদান, চিকিৎসাসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া, শিক্ষার ব্যবস্থা করাÑসব ক্ষেত্রেই আজকে তার সরকার সাফল্য অর্জন করেছে। তবে আরও সামনে এগিয়ে যাওয়ার আকাক্সক্ষাও ব্যক্ত করেন তিনি।

সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন, তাঁর আদর্শের সংগঠন, তাই যখনই ক্ষমতায় এসেছে জনগণের ভাগ্যোন্নয়নেই কাজ করেছে। তাই আজকে যতটুকুই অর্জন আমি মনে করি, তা জনগণেরই অবদান।

আজকে বাংলাদেশকে একটি অবস্থানে নিয়ে আসত পারার জন্য তার সহকর্মীদের এসময় ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যেভাবে আমরা উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েছি, সেভাবেই বাস্তবায়ন করতে পেরেছি বলেই ঠিক যখন ২০২০ সালে জাতির পিতার জš§শতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করছি, তখনই উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এটা আমাদের একটা বিরাট অর্জন। তবে আরও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, একটানা (তিনবার) জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় থাকতে পারার কারণে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছি এবং আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। কাজেই আমাদের ওপর জনগণের যেমন আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে, তেমনি আমারও জনগণের প্রতি সেই আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে।

তার সরকার স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা নির্ধারণ করে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য বাস্তবায়নের পাশাপাশি আশু করণীয় নির্ধারণ ও পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। তার সরকার ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী যে রূপকল্প-২০২১ ঘোষণা করেছিল, তা বাস্তবায়ন করতে সমর্থ হয়েছে। আজকের অর্জনের পেছনে পরিকল্পনা কমিশনের একটা বিরাট অবদান রয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তাদেরও ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা ঔপনিবেশিক আমলের শাসন কাঠামোকে পরিবর্তন করে ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে চেয়েছিলেন এবং সেজন্য পদক্ষেপও নিয়েছিলেন, যার সুফল দেশের মানুষ পেতে শুরু করেছিল।

তিনি বলেন, জাতির পিতা পরিকল্পনা কমিশন গঠন করেন এবং এদেশের স্বনামধন্য অর্থনীতিবিদদের নিয়ে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে দীর্ঘ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে এদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ যেন কারও মুখাপেক্ষী না থেকে আত্মমর্যাদাশীলভাবে গড়ে ওঠে, সেটাই ছিল তার চিন্তা এবং দেশকে তিনি স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হন।