সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী

উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে আইসিএমএবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকার জন্য প্রয়োজন ব্যয় নিয়ন্ত্রণ এবং সম্পদের অপচয় ও অপব্যবহার রোধ। আমি মনে করি, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টরা এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন। তিনি বলেন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে আইসিএমএবি।

গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্ত্যব্যে তিনি এ কথা বলেন। সমাবর্তনে আইসিএমএবির ডিগ্রিধারী অ্যাসোসিয়েট ও ফেলো সদস্যদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত। বিশেষ অতিথি ছিলেন কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অব বাংলাদেশ মো. মুসলিম চৌধুরী।

বাণিজ্যমন্ত্রী বক্তব্যে বলেন, দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি পূর্বশর্ত হচ্ছে একদল সুশিক্ষিত কর্মী বাহিনীর উপস্থিতি। বাংলাদেশের মতো একটি সীমিত সম্পদের দেশে এটা আরও বেশি প্রয়োজনীয়। সুশিক্ষিত মানবসম্পদ সৃষ্টির ক্ষেত্রে আইসিএমএ বাংলাদেশের ভূমিকা প্রশংসনীয়। হিসাব এবং ব্যয়ের যথাযথ পরিচালনা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই প্রয়োজন। আমরা প্রতিটি খাতেই উন্নয়ন চাই। আমি আশা করি আইসিএমএবি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

অনুষ্ঠানে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল মুসলিম চৌধুরী চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার মতো দক্ষতাসম্পন্ন মানবসম্পদ গড়ে তোলার বিষয়ে গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে দক্ষ কর্মী চাই আমাদের। এখনকার এ ডিগ্রি নিয়ে সন্তুষ্ট থাকলেই চলবে না। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয়ে নিজেকে প্রশিক্ষিত করে তোলা প্রয়োজন। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে নিজেকে উপযোগী করে তুলতে হবে। তিনি সনদপ্রাপ্ত কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টদের তাদের সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানান।

আইসিএমএবি সভাপতি এম আবুল কালাম মজুমদার বলেন, বিশ্বায়ন এবং বাংলাদেশের দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের চ্যালেঞ্জের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্য হিসাববিজ্ঞান পেশায় দক্ষ পেশাদার প্রয়োজন বেড়েছে। পথচলার শুরু থেকেই হিসাববিজ্ঞান পেশার প্রসার এবং এ পেশায় দক্ষ ব্যক্তি গড়ে তোলার বিষয়ে আইসিএমএবি মনোযোগী।

তিনি আরও বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত অর্থনীতির রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আমাদের দেশের লক্ষ্য। এ জন্য সরকারি এবং বেসরকারি খাত পরিচালিত এমন এক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা আমাদের গড়ে তুলতে হবেÑযা হবে স্বচ্ছ, ব্যাখ্যাপযোগী এবং সুশাসন নিশ্চিত করে। তিনি সনদপ্রাপ্ত সিএমএ ডিগ্রিধারীদের অভিনন্দন জানান এবং তাদের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।  

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিএমএবির কনভোকেশন কনভেনার এবং সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।

সমাবর্তনে ২৪৫ জন সিএমএ ডিগ্রিধারী ফেলো ও অ্যাসোসিয়েট সদস্যদের মাঝে সনদপত্র ও পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলপ্রাপ্তদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে সরকারি, আধা-সরকারি, ব্যক্তি মালিকানাধীন, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, ইনস্টিটিউটের সাবেক সভাপতি, কাউন্সিল সদস্য এবং ফেলো ও অ্যাসোসিয়েট সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০