নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ১৩৯ উপজেলায় আজকে প্রথম ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে যে তথ্য পেয়েছি, নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। গতকাল বুধবার নির্বাচন ভবনে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, কিছু কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। কিছু সংঘর্ষে কিছু আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কয়েকটি কেন্দ্রে সীমিত অনিয়ম হয়েছে। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ নিয়েছি। দুটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রশাসন, পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথেষ্ট সতর্ক ছিল। তারা দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট তৎপর ছিল। পেশাদারত্বের সঙ্গে তারা দায়িত্ব পালন করেছে। সে কারণে পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালো ছিল। আমাদের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী ৩৪টি ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন ২৫ জন ও আটক হয়েছেন ৩৭ জন। ভোটকেন্দ্রের বাইরে এসব ঘটনা ঘটেছে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোট পড়ার হার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের মধ্যে হতে পারে। সকালে বৃষ্টি ও ধান কাটার মৌসুম বলে ভোট পড়ার হার কম হতে পারে। ভোটাররা ধান কাটতে থাকায় ভোটকেন্দ্রে আসেননি, এটা জানতে পেরেছি। এছাড়া কিছু কিছু জায়গায় ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ভোটার বেশি এলে আরও বেশি ভালো হতো। কিন্তু আমরা গণনা করি কে বেশি ভোট পেয়েছেন। আমার বিষয় হচ্ছেÑভোট হয়েছে কি না, ভোটাররা আসতে পেরেছেন কি না, ভোট দিতে পেরেছেন কি না, কোথাও কোনো অনিয়ম হলো কি না। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি।
বুধবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু করে নির্বাচন কমিশন (ইসি), যা শেষ হয় বিকাল ৪টায়। এবার দেশের ৪৯৬ উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলা নির্বাচনে চার ধাপে তফসিল দেয় কমিশন। প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলায় তফসিল দিলেও নানা কারণে ভোট হলো ১৩৯টিতে। এই ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২৮ প্রার্থী (চেয়ারম্যান আটজন, সাধারণ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ১০ জন করে)।
দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।