নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এবং চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) গতকাল লেনদেন সামান্য বাড়লেও সূচক কমেছে। গতকাল সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়রদর অপরিবর্তিত ছিল। বাকি শেয়ারের মধ্যে অধিকাংশ কোম্পানির শেযারের দর কমার কারণে সূচকের পতন হয়েছে। লেনদেন আগের কার্যদিবসের তুলনায় সামান্য বেড়েছে। গতকাল সূচকের উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। ৩০ মিনিটের মধ্যে বিক্রির চাপ বাড়লে সূচকে পতন নেমে আসে। এরপরে পতনের ধারা শেষ সময় পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স সূচক পাঁচ দশমিক ৯১ পয়েন্ট নেতিবাচক অবস্থানে যায়। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স পাঁচ দশমিক ৯১ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ কমে তিন হাজার ৯৫৮ দশমিক ৩৬ পয়েন্টে পৌঁছায়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক এক দশমিক ৯৪ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ২১ শতাংশ কমে ৯১৭ দশমিক ৬২ পয়েন্টে অবস্থান করে। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক চার দশমিক ২৫ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ কমে এক হাজার ৩২৪ দশমিক ৭৭ পয়েন্টে স্থির হয়।
গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয় ৬১ কোটি ৫৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৩ কোটি ৮৮ লাখ ৫৭ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে লেনদেন বেড়েছে সাত কোটি ৬৫ লাখ টাকার। এদিন দুই কোটি ৮৭ লাখ ৪০ হাজার ৪৩৬টি শেয়ার ১২ হাজার ৮০৮ বার হাতবদল হয়। গতকাল ডিএসইর বাজার মূলধন ২৭২ কোটি ৩২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা কমে দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ১০ হাজার ২৬৬ কোটি ৬০ লাখ ৬১ হাজার টাকায়।
গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। কোম্পানিটির আট কোটি ২০ লাখ ৪৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। শেয়ারটির দর দুই টাকা ৫০ পয়সা কমেছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা লিন্ডে বাংলাদেশের তিন কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ২২ টাকা ৯০ পয়সা। ন্যাশনাল ব্যাংকের তিন কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দর অপরিবর্তিত ছিল। এরপরের অবস্থানগুলোতে থাকা সেন্ট্রাল ফার্মার দুই কোটি ৪৬ লাখ টাকার, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল কোম্পানির দুই কোটি ১৯ লাখ টাকার, যমুনা ব্যাংকের দুই কোটি ১৪ লাখ টাকার, এক্সিম ব্যাংকের দুই কোটি ১১ লাখ টাকার, ইন্দো বাংলা ফার্মার দুই কোটি তিন লাখ টাকার, রেকিট বেনকিজারের এক কোটি ৬৮ লাখ টাকার এবং শাহজিবাজার পাওয়ারের এক কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
দুই দশমিক ২২ শতাংশ বেড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালেন্সড ফান্ড। লিন্ডে বাংলাদেশের এক দশমিক ৭৪ শতাংশ, প্রাইম ব্যাংকের এক দশমিক ৩৯ শতাংশ, এনসিসি ব্যাংকের শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের শূন্য দশমিক ২৪ শতাংশ, এবং গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন বাংলাদেশের শূন্য দশমিক শূন্য শূন্য চার শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।
অন্যদিকে পাঁচ দশমিক ৫৫ শতাংশ দর কমে পতনের শীর্ষে উঠে আসে বেক্সিমকো সিনথেটিকস লিমিটেড। বিডি ওয়েল্ডিংয়ের দর পাঁচ দশমিক ৩৩ শতাংশ, এসিআই ফরমুলেশনসের দর চার দশমিক ৮৮ শতাংশ, দেশ গার্মেন্টের দর চার দশমিক ৪৩ শতাংশ, কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের দর তিন দশমিক ৮৪ শতাংশ, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের দর তিন দশমিক ৮৪ শতাংশ, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেডের তিন দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং ইন্দো বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের দুই দশমিক ৯৫ শতাংশ কমেছে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ১৩ দশমিক শূন্য পাঁচ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ কমে ছয় হাজার ৮০৮ দশমিক ৭৫ পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২০ দশমিক ৯১ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৮ শতাংশ কমে ১১ হাজার ২৩৮ দশমিক ৫৬ পয়েন্টে অবস্থান করে। সিএসইতে ৮৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। দর বেড়েছে ১১টির, কমেছে ২২টির এবং ৫৩টির দর অপরিবর্তিত ছিল। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার ৩৭৮ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল দুই কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার ৭৮৩ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে লেনদেন বেড়েছে প্রায় আট কোটি টাকা।