নিজস্ব প্রতিবেদক: সন্তোষজনক লভ্যাংশ না দিলেও উৎপাদন ও মুনাফার খবরে শেয়ারদর বেড়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্যালভো কেমিক্যালের। গতকাল এক দিনের ব্যবধানে এর শেয়ারপ্রতি দর বেড়েছে দুই টাকা বা প্রায় ১১ শতাংশ। দিনশেষে প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২০ টাকা ৮০ পয়সায়। আর শেয়ারদর ওঠানামা করে ১৮ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ২০ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে। গত এক বছরে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার সর্বনিম্ন ১০ টাকা ৫০ পয়সা এবং সর্বোচ্চ ২৭ টাকা ৫০ পয়সা দরে কেনাবেচা হয়।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত বছরের মতো এ বছরও প্রতিষ্ঠানটি মাত্র পাঁচ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদান করেছে। সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ০.৭৯ টাকা। আগের বছর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৬২ পয়সা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ২১.৫১ শতাংশ। যদিও লভ্যাংশের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
এদিকে বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে সালভো কেমিক্যাল লিমিটেডের জিংক সালফেট মেগা প্রকাল্প। কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে মেগা এ প্রকল্পটির বাণিজ্যিক উৎপাদন গত জানুয়ারি মাসে শুরু হওয়ার কথা ছিল এবং উৎপাদনের সময়সূচি নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও স্টক এক্সচেঞ্জকেও জানানো হয়েছিল। কিন্তু নানা কারণে প্রকল্পটির বাণিজ্যিক কার্যক্রম নির্ধারিত সময়ে শুরু করা যায়নি। সূত্র জানিয়েছে, শিগগির প্রকল্পটির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে।
জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিষ্ঠানের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা এখন মেগা এ প্রকল্প বাণিজ্যিক উৎপাদনে আনার পূর্বপ্রস্তুতি নিচ্ছি। খুব শিগগির এর আনুষ্ঠানিক যাত্র শুরু হবে। তবে এখনই দিন-তারিখ বলতে পারছি না। কারণ ডিএসই কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে এটা বলা ঠিক হবে না।’
সূত্রে জানা যায়, মেগা প্রকল্পটির শতভাগ যন্ত্রপাতি স্থাপন ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আনুষঙ্গিক কার্যক্রমও সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পটিতে বর্তমানে পরীক্ষামূলক উৎপাদনও চলছে।
অন্যদিকে কেমিক্যাল উৎপাদনকারী কোম্পানিটি ওষুধ কোম্পানির লাইসেন্স পেতে যাচ্ছে। কোম্পানিটি সম্প্রতি ওষুধ কোম্পানির আবেদন করে। লাইসেন্স অনুমোদন প্রক্রিয়া এখন চ‚ড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কোম্পানির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ওষুধ কোম্পানির লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা হয়েছে বেশ কিছুদিন হলো। এটি এখন চ‚ড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু এর জন্য কিছুদিন সময়ের দরকার।
‘বি’ ক্যাটাগরির এ প্রতিষ্ঠানটি ২০১১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এর পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ৫৮ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানের মোট শেয়ারের ৬৬ দশমিক ২৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ২২ দশমিক ১৪ শতাংশ ধারণ করছেন পরিচালকরা। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশ শেয়ার।