নিজস্ব প্রতিবেদক: উৎপাদনের ৭৫ দশমিক ২৬ শতাংশ উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ড বিতরণ করেছে নির্বাচন কমিশন। অবিশষ্টগুলোর বিতরণের কাজ চলছে।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মাসিক সমন্বয় সভায় স্মার্টকার্ড প্রকল্প পরিচালক এ তথ্য উপস্থাপন করেন। সভায় স্মার্টকার্ড বিতরণের ক্ষেত্রে নাগরিকদের ডেটা নট ফাউন্ড সমস্যাটি বড় বাধা হিসেবেও চিহ্নিত করেছেন কর্মকর্তারা।
সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে ইসির কাছে ৪৫ লাখের মতো ব্ল্যাক স্মার্টকার্ড রয়েছে। বিতরণের উপযোগী করে প্রস্তুত করা হয়েছে সাত কোটির মতো কার্ড। আর এগুলোর মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে পাঁচ কোটি ৭০ লাখ স্মার্টকার্ড।
এ বিষয়ে স্মার্টকার্ড বা আইডিইএ-২ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কাশেম মো. ফজলুল কাদের জানান, স্মার্টকার্ড উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা আর ৯ কোটিতে সীমাবদ্ধ নেই। ২০২৫ সালের মধ্যে ১৫ কোটি নাগরিককে স্মার্টকার্ড দেয়া হবে।
২০১১ সালের বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় আইডিইএ প্রকল্পটি হাতে নেয় নির্বাচন কমিশন। এরপর কার্ড সরবরাহের জন্য ফরাসি কোম্পানি অবার্থার টেকনোলজিজের সঙ্গে চুক্তি করে। কিন্তু তারা ৯ কোটি কার্ড দিতে না পারায় চুক্তি বাতিল করে ইসি। এরপর সিদ্ধান্ত হয় বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে স্মার্টকার্ড প্রস্তুত করে নেয়া হবে। এর মধ্যে আইডিইএ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়। সরে যায় বিশ্বব্যাংক। ফলে ২০২১ সালে হাতে নেয়া হয় আইডিইএ-২ প্রকল্প। এতে সরকারি তহবিল থেকে অর্থের জোগান দেয়া হচ্ছে।
