নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাভাবিক উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং বিক্রয় কার্যক্রম তিন মাসের জন্য বন্ধ থাকবে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি লিমিটেডের। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের আদেশ অনুযায়ী, পেট্রোবাংলা তার অধীন সব প্রাইভেট কনডেনসেট প্লান্টে কনডেনসেট সরবরাহ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। জুলাই থেকে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোম্পানির কনডেনসেট সরবরাহ বন্ধ থাকবে। গত ২৭ জুন জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ থেকে জারি করা আদেশ অনুসারে, জুলাই, আগস্ট এবং সেপ্টেম্বরসহ পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না হওয়া পর্যন্ত কনডেনসেট সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়। আর কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সভায় বলা হয়, কনডেনসেট সরবরাহ বন্ধ থাকলে এবং কোম্পানিটির বর্তমান স্টক বিক্রি শেষ হলে স্বাভাবিক উৎপাদন প্রক্রিয়া ও বিক্রয় কার্যক্রম ওই সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ১১৫ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ১১৫ টাকা ৪০ পয়সা। দিনজুড়ে দুটি শেয়ার মাত্র একবার হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৭৭ থেকে ১৫৭ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দুই শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১২ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৫৭ পয়সা। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দুই শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ২৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছিল ১৪ টাকা ৫৮ পয়সা। আর ২০১৭ সালে দুই শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে তিন টাকা ৪২ পয়সা এবং এনএভি ১৪ টাকা ৫৭ পয়সা।
কোম্পানিটি ১৯৯০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৫ কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৭ কোটি ৮৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ২ কোটি ৫২ লাখ ৪৫ হাজার শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৫০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২২ দশমিক ৩১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ২২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ২৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ শেয়ার।
এছাড়া সম্প্রতি কোম্পানিটি চলতি হিসাববছরের ৩১ মার্চ ২০২০ সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে চার পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৭ পয়সা। আর ৯ মাসে বা প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০১৯-মার্চ, ২০২০) শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৩৭ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ২১ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩১ মার্চ শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৫ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ১৪ টাকা ৫৭ পয়সা। আর প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০১৯-মার্চ, ২০২০) শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে দুই টাকা তিন পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ছিল ৬৭ পয়সা (লোকসান)।