আবদুর রহিম, নারায়ণগঞ্জ: শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগের পর থেকে সারাদেশের মতো নারায়ণগঞ্জেও বিজয় উৎসব করছে ছাত্র-জনতা। গত সোমবার বিকেলে শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর পেয়েই শহরের বিভিন্ন এলাকার লোকজন চাষাঢ়ায় জড়ো হতে থাকেন। পরে সবাই মিলে উল্লাস করেন।
একদিকে আনন্দ-উল্লাস অন্যদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে পুরো জেলা জুড়ে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে আনন্দ মিছিলের পাশাপাশি বিকেল থেকে বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে অতি উৎসাহি একদল জনতা।
এসময় এমপি শামীম ওসমান,সেলিম ওসমানসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়ি-গাড়ি, দলীয় অফিস ও তাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। বাদ যায়নি নারায়ণগঞ্জের এলিট-শ্রেণীর ক্লাব হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জ ক্লাবও। এছাড়া হামলার শিকার হয়েছে জেলার বেশ কয়েকটি থানা। লুটপাট হয়েছে জেলা পুলিশ লাইনেও।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আনন্দ মিছিল চলাকালে দুর্বৃত্তরা নারায়ণগঞ্জ শহরের বায়তুল আমান, রাইফেল ক্লাব, এ্যাটেল মাটি, জামতলায় শামীম ওসমানের বাড়ি, শামীম ওসমানের ভাতিজা আজমেরি ওসমানের বাড়ি-গাড়ি, চাষাঢ়ায় সেলিম ওসমানের বাড়ি, আজমেরি ওসমান মার্কেট নারায়ণগঞ্জ ক্লাব, শহরের দুই নম্বর রেলগেট এলাকার আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এসময় লুটপাটও করা হয়।
এসব নৈরাজ্যের খবরে পুরো জেলা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে। আওয়ামীলীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা গা ঢাকা দিয়েছেন। অনেকে নিরাপদে অন্যত্র চলে গেছেন। তবে সোমবার দিনগত রাতে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বসতবাড়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, লুটপাট হয়েছে। জেলার বেশ কয়েকটি তানায় হামলার খবরে পুলিশের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে। রাতে শহর কিংবা শহরের বাইরে পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়নি।
তবে মঙ্গলবার দুপুরে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক সবাই শান্ত হওয়ার আহবান জানিয়েছেন এবং জেলার পরিবেশ শান্ত রাখতে সবার সহযোগীতা কামনা করেছেন।