উড়োজাহাজ সংস্থা নেই যেসব দেশের

বর্তমানে কয়েকটি সার্বভৌম দেশের নিজস্ব উড়োজাহাজ সংস্থা নেই। দেখে নিতে পারেন দেশগুলো
অ্যান্ডোরা: অ্যান্ডোরায় কোনো বিমানবন্দর নেই। সহজে অনুমেয়, দেশটিতে কোনো বিমান সংস্থা নেই। তবে তিনটি হেলিপোর্ট রয়েছে। এর একটি হসপিটাল হেলিপ্যাড। দেশটিতে একটি জাতীয় হেলিপোর্ট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে
বার্বাডোজ: তিনটি বিমান পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে বার্বাডোজে ক্যারিব এক্সপ্রেস, রেডজেট ও ট্রান্স আইল্যান্ড এয়ার। বর্তমানে এর একটিও চালু নেই। সর্বশেষ রেডজেট বন্ধ হয়ে যায় ২০১২ সালে। তবে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, পানামাসহ কয়েকটি ক্যারিবিয়ান দেশের ১৪টি বিদেশি এয়ারলাইনস নিয়মিত দেশটির গ্র্যান্টলি অ্যাডামস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট
ব্যবহার করে
লিসটেনস্টেইন: দেশটিতে নেই কোনো বিমানবন্দর। সঙ্গত কারণে নেই কোনো বিমান সংস্থাও। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের শহর বালজারে একটি হেলিপোর্ট রয়েছে
মাইক্রোনেশিয়া: এয়ার মাইক্রোনেশিয়া (পরবর্তীকালে কন্টিনেন্টাল মাইক্রোনেশিয়া নামকরণ করা হয়) নামে একটি এয়ারলাইন ছিল মাইক্রোনেশিয়ায়। যুক্তরাষ্ট্রের কন্টিনেন্টাল এয়ারলাইনসের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ছিল এয়ারলাইনটি। ২০১০ সাল থেকে সংস্থাটির সব কার্যক্রম পরিচালনা করছে কন্টিনেন্টাল এয়ারলাইনস। চারটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে দেশটিতে চুক, কোসরে, ইয়াপ ও পোহনপেই। এয়ার নিউগিনি, ইউনাইটেড এয়ারলাইনস ও নাউরু এয়ারলাইনস মাইক্রোনেশিয়া থেকে পাপুয়া নিউগিনি, মার্শাল আইল্যান্ড, হাওয়াই, গুয়াম ও নাউরুতে চলাচল করে। এ বিমান সংস্থাগুলো দেশটির অভ্যন্তরীণ রুটেও চলাচল করে
গিনি বিসাউ: এয়ার বিসাউ নামে একটি বিমান পরিবহন সংস্থা ছিল দেশটিতে। ১৯৯৮ সালে এর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তবে দেশটির একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অসভালডো ভিয়েইরা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে আসকি এয়ারলাইনস, ইউরোআটলান্টিক এয়ারওয়েজ, রয়েল এয়ার মারোক, ট্যাপ এয়ার বিমান সংস্থাগুলো পর্তুগাল ও ট্রান্সএয়ার সেনেগাল, টোগো, পর্তুগাল, কেপ ভার্দে ও মরোক্কোয় যাতায়াত করে
লাইবেরিয়া: লাইবেরিয়ায় এয়ার লাইবেরিয়া নামে একটি বিমান সংস্থা ছিল, যা ১৯৯০ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়। আটটি বিদেশি বিমান পরিবহন সংস্থা দেশটির একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রবার্টস
ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট ব্যবহার করে। বিমান সংস্থাগুলোর মধ্যে ছয়টি আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের, দুটি ইউরোপের। ঘানা, আইভরি কোস্ট, নাইজেরিয়া, বেলজিয়াম, সিয়েরালিয়ন, কেনিয়া, নেদারল্যান্ডস ও মরক্কো রুটে যাতায়াত করে বিমানগুলো
স্যান মেরিনো: যে দেশে কোনো বিমানবন্দর নেই, সে দেশে কি বিমান পরিবহন সংস্থা থাকতে পারে? তবে বোরগো ম্যাগিওরেতে একটি হেলিপোর্ট রয়েছে। দেশটির টোরাসিয়ায় একটি এয়ারফিল্ডও রয়েছে, দুই হাজার ২৩০ ফুটের রানওয়ে এটি
টুভালু: এ দেশটিতে কখনোই কোনো বিমানসংস্থা ছিল না। তবে ফিজি এয়ারওয়েজ দেশটির একমাত্র বিমানবন্দর ফুনাফুতি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট ব্যবহার করে। এখান থেকে ফিজির নাদি ও সুভায় যাতায়াত করে সংস্থাটির কয়েকটি ফ্লাইট
ভ্যাটিকান সিটি: দেশটিতে নেই কোনো বিমানবন্দর। তবে দেশটির পশ্চিম প্রান্তে ভ্যাটিকান সিটি হেলিপোর্ট নামে একটি হেলিপোর্ট রয়েছে। দেশটির গণ্যমান্য ব্যক্তিরা হেলিপোর্টটি ব্যবহার করে থাকেন। মূলত ক্ষুদ্র আয়তনের দেশটিতে বিমানবন্দর নির্মাণ করা সম্ভব নয়। তাই এদেশের নাগরিকরা ইতালির রোম কিয়ামপিনো বিমানবন্দর ব্যবহার করেন
মোনাকো: বিমানবন্দর নেই মোনাকোতেও। তবে মোনাকোএয়ার ও হেলিএয়ার মোনাকো নামে দুটি বিমান সংস্থা রয়েছে। একটি হেলিপোর্ট রয়েছে মোনাকোয়, নাম মোনাকো হেলিপোর্ট। দেশটির মোনেগাস্ক শহরে রয়েছে হেলিপোর্টটি। এখান থেকে ফ্রান্সের কাছাকাছি শহরে যাতায়াত করে উড়োজাহাজ সংস্থা দুটির বিভিন্ন ফ্লাইট।

উইকিপিডিয়া অবলম্বনে রতন কুমার দাস

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০