নিজস্ব প্রতিবেদক: জরিমানার কবলে পড়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের ড্রাগন সোয়েটার। আইপিও’র অর্থ ব্যয়সংক্রান্ত তথ্য আর্থিক প্রতিবেদনে প্রদর্শন না করায় কোম্পানিটিকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গতকাল মঙ্গলবার বিএসইসির কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জানা যায়, মোট আইপিও ফান্ডের ৫৩ দশমিক ৬২ শতাংশ অর্থ নগদ ব্যয় করেছে পুঁজিবাজারে তালিকতাভুক্ত ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং লিমিটেড, যা আর্থিক প্রতিবেদনে প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ‘বুক অব অ্যাকাউন্ট’ সঠিকভাবে সংরক্ষণ করেনি আর্থিক বিবরণীতে।
অন্যদিকে প্রসপেক্টাসে উল্লিখিত ঘোষণা অনুযায়ী যন্ত্রপাতি ক্রয় ও যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন না করার মধ্য দিয়ে কোম্পানিটি সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গ করেছে। উল্লিখিত সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের অপরাধে কমিশন ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং লিমিটেডকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে।
এদিকে কোনো কারণ ছাড়াই গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে দর বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনও বেড়েছে প্রতিষ্ঠানটির। গতকালও লেনদেনের শীর্ষে ছিল ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং লিমিটেড। এদিন কোম্পানিটি ১৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে। আর মোট শেয়ার লেনদেন হয়েছে প্রায় ৯০ লাখ।
প্রতিষ্ঠানটি লেনদেন চিত্রে গত এক মাসে শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২৭ শতংশ। এ সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের সর্বনি¤œ দর ছিল ১৭ টাকা। গতকাল দিন শেষে যা ২১ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়। কোনো কারণ ছাড়া এ ধরনের দর বৃদ্ধি স্বাভাবিকভাবে দেখছেন না কেউই। তাদের অভিমত এ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার নিয়ে কারসাজি হচ্ছে। তা না হলে কোনোভাবেই প্রতিষ্ঠাটির শেয়ারের দর এমনভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে না। এদিকে বিষয়টি জানতে যোগাযোগ করা হলে প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে গত এক বছরের লেনদেন চিত্রে দেখা যায়, এ সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার সর্বনি¤œ ১৬ টাকায় লেনদেন হয়। একই সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৪ টাকা ৬০ পয়সায় কেনাবেচা হতে দেখা যায় প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার।
‘এ’ ক্যাটেগরির প্রতিষ্ঠানটির ২০১৬ সালে পুুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। প্রতিষ্ঠানটির মোট শেয়ারের মধ্যে ৪০ দশমিক ১১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে পরিচালকদের কাছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৩৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে। এছাড়া ২০ দশমিক ৩১ শতাংশ শেয়ার ধারণ করছেন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। তালিকাভুক্ত হওয়ার পর দুই বছরই এ প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ করে বোনাস শেয়ার প্রদান করে। গত বছর প্রতিষ্ঠানটি এক কোটি ৪৫ লাখ টাকা মুনাফা করেছে।