ঊর্ধ্বমুখী পুঁজিবাজারে সতর্ক লেনদেন করছেন বিনিয়োগকারীরা

মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: আগের দিনের মতো গতকালও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন শেষ হয়েছে। দিনের একটা সময় সূচক কিছুটা নি¤œমুখী হলেও দিন শেষে তা ঊর্ধ্বমুখী ছিল। গতকাল দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ২২ পয়েন্ট বেড়ে স্থির হয় সাত হাজার ৭৫ পয়েন্টে। তবে সূচক বাড়লেও হ্রাস পেতে দেখা গেছে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দর হ্রাস পায় ১৮৪টির। পক্ষান্তরে ১৫৪টির দর বৃদ্ধি পায় এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩০টির দর।

এদিকে ঊর্ধ্বমুখী পুঁজিবাজারে হিসাবি হচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারী। এ কারণে মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানির শেয়ারে ঝুঁকেছেন তারা। কিছু স্বল্প মূলধনি কোম্পানির শেয়ারদর বাড়লেও বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীরা চাহিদায় ছিল মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানির শেয়ারের দিকে। ফলে এ ধরনের কোম্পানিতে বেশি বিনিয়োগ এসেছে। মূলত বাজার পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেই দিকটি বিবেচনা নিচ্ছেন তারা। কারণ ঊর্ধ্বমুখী বাজারে বড় ধরনের সংশোধন হলেও বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন।

অন্যদিকে গতকালের লেনদেন চিত্রে চোখ রাখলে দেখা যায়, এদিন লেনদেনের শীর্ষে ছিল বস্ত্র খাত। মোট লেনদেনে এর পরের অবস্থানে দেখা যায় প্রকৌশল খাত। এ খাতের শেয়ারেও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল। একইভাবে আগ্রহ দেখা গেছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের শেয়ারে। এ ছাড়া অন্যান্য খাতের শেয়ারেও লেনদেনে উল্লেখযোগ্যহারে অবদান দেখা যায়।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে মোট দুই হাজার ৯০১ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটে লেনদেন ছিল প্রায় ৫৩ কোটি টাকা। এ মার্কেটে লেনদেনে অংশ নেয় ৫৭টি কোম্পানি।

জানা গেছে, কোম্পানিগুলোর ৮৬ লাখ ৩৪ হাজার ২২৯টি শেয়ার ৯৯ বার হাতবদলের মাধ্যমে ৫২ কোটি ৮০ লাখ ৪৮ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্য সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১১ কোটি ৪৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে এডিএন টেলিকমের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ কোটি ২৪ লাখ টাকা বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ছয় কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০