রুবাইয়াত রিক্তা: ঘুরে দাঁড়িয়েছে পুঁজিবাজার। তিন কার্যদিবস বড় ধরনের পতনের পর গতকাল সূচক ও লেনদেন উভয়ই ইতিবাচক হয়। জুন ক্লোজিং কোম্পানিগুলোর বছর শেষের ঘোষণা আসার আগে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনা শুরু করেছেন। জানা গেছে, জুন ক্লোজিংয়ের অধিকাংশ কোম্পানি মুনাফায় রয়েছে। যার কারণে এসব কোম্পানির লেনদেন বাড়ছে। গতকাল লেনদেনের পুরোটা সময়জুড়ে শেয়ার কেনার প্রবণতা ছিল। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন ১১৩ কোটি টাকা বেড়ে ৭৪১ কোটি টাকা হয়। মোট লেনদেনের প্রায় এক চতুর্থাংশই হয় বস্ত্র খাতে। প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয় ১৭ শতাংশ। বৃহৎ খাতগুলোর কোনোটিতেই উল্লেখযোগ্য পরিমাণে লেনদেন হয়নি। তবে অধিকাংশ কোম্পানির দরবৃদ্ধিতে ৬১ শতাংশ শেয়ারদর ইতিবাচক ছিল।
বস্ত্র খাতে লেনদেন হয় ১৬৬ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের প্রায় ২৫ শতাংশ। এ খাতে ৮৮ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। এ খাতের প্রাইম টেক্সটাইল, এইচ আর টেক্সটাইল, আরএন স্পিনিং দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে উঠে আসে। এসব কোম্পানির দর প্রায় ১০ শতাংশ করে বেড়েছে। এছাড়া আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ১৫ কোটি, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ১৪ কোটি, প্রাইম টেক্সের সাড়ে ১৩ কোটি, ড্রাগন সোয়েটারের ১১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয় ১৭ শতাংশ। এ খাতে ৮০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। এ খাতের দেশবন্ধু পলিমার দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে। আনোয়ার গ্যালভানাইজিং ও রংপুর ফাউন্ড্রির দরও প্রায় ১০ শতাংশ করে বেড়েছে। এ খাতের আরএসআরএম স্টিলের ১৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। বসুন্ধরা পেপার মিলসের ৫৯ কোটি টাকার লেনদেন এবং ১৫ টাকা ৮০ পয়সা দর বেড়ে বাজারে নেতৃত্ব দেয় কোম্পানিটি। এছাড়া মুন্নু সিরামিকসের প্রায় ২১ কোটি, ইউনাইটেড পাওয়ারের ২০ কোটি, লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের সাড়ে ১৯ কোটি এবং সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজের সাড়ে ১৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। ১০ শতাংশ বেড়ে সিনোবাংলা দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশের দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে আসে। উল্লেখযোগ্য পরিমাণে লেনদেন না হলেও বিবিধ খাতে ৯২ শতাংশ, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ৬৫ শতাংশ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৮৪ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ৮৩ শতাংশ, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ৭৫ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ৭১ শতাংশ শেয়ারদর ইতিবাচক ছিল। পাট খাত, কাগজ ও মুদ্রণ খাতের সবগুলো শেয়ারের দর বেড়েছে। অন্যদিকে টেলিযোগাযোগ খাতে কোনো কোম্পানির দর বাড়েনি।