নিজস্ব প্রতিবেদক: ঋণাত্মক মূলধনধারী বিনিয়োগ হিসাবে লেনদেনের সময় বাড়িয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ ধরনের হিসাবে ১৮ আগস্টের পরিবর্তে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত লেনদেন করতে পারবেন ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা। বিএসইসি সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।
এর আগে এ ধরনের হিসাবে লেনদেনের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য বিএসইসিতে আবেদন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), ডিএসই ব্রোকারার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ)
বিএসইসি মার্জিন রুলস অনুযায়ী কোনো বিনিয়োগকারীর ডেবিট ব্যালান্স ১৫০ শতাংশের নিচে নেমে গেলে ওই হিসাবে শেয়ার কেনাবেচা বন্ধ থাকার কথা। তবে ২০১০ সালের ধস-পরবর্তী বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় কয়েক দফা ধারাটির কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়।
সর্বশেষ গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ডিএসই কর্তৃপক্ষ নতুন করে স্থগিতাদেশের জন্য বিএসইসির কাছে আবেদন করে। বিনিয়োগকারীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে ধারাটির কার্যকারিতা ছয় মাস স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়, যার মেয়াদ শেষ হয় আজ।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের পর থেকে টানা দরপতনে অসংখ্য মার্জিন অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগকারীর মূলধন ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। ওই সব অ্যাকাউন্টে থাকা শেয়ারের মূল্য এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায় যে বিনিয়োগকারীদের নিজস্ব মূলধনের পরিমাণ মাইনাস হয়ে যায়। নিয়ম অনুযায়ী আইন অনুসারে এমন অ্যাকাউন্টে লেনদেন নিষিদ্ধ। তখন তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়।
মার্জিন রুলস অনুযায়ী, কোনো বিনিয়োগকারীর ডেবিট ব্যালান্স ১৫০ শতাংশের নিচে নেমে গেলে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান তার কাছে নতুন করে মার্জিন চাইবে। এ মার্জিনের পরিমাণ এমন হবে, যাতে তার ডেবিট ব্যালান্স ১৫০ শতাংশের ওপরে থাকে। এটা করতে না পারলে ওই বিনিয়োগকারী আর লেনদেনের সুযোগ পান না।