নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংক ঋণের জামিনদার হওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করল বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণগ্রহীতার ঋণ গ্রহণের উদ্দেশ্য, জামানত সংক্রান্ত চুক্তি এবং ঋণের শর্তাবলি লেখা নেই এমন কোনো সাদা কাগজে স্বাক্ষর করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে ঋণের জামিনদার বা গ্যারান্টর হাওয়ার আগে পাঁচটি বিষয় জানতে হবে। এগুলো হলোÑ এক. ঋণগ্রহীতার ঋণ গ্রহণের কারণ অথবা উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবগত হতে হবে। ঋণগ্রহীতার ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা আছে কি না সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। দুই. জামিনদার হওয়ার আগে ঋণ/জামানত সংক্রান্ত চুক্তির শর্তাবলি ভালো করে পড়ে বুঝে নিতে হবে। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ/আইনজ্ঞের মতামত নিতে হবে। তিন. ঋণের শর্তাবলি লেখা নেই এমন কোনো সাদা কাগজে স্বাক্ষর করা যাবে না। চার. মূল ঋণগ্রহীতা খেলাপি হলে জামিনদারও খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হবে। এতে জামিনদারের সিআইবি রিপোর্টে এর প্রভাব পড়বে। পাঁচ. ঋণগ্রহীতা ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে জামিনদার তা পরিশোধ করতে বাধ্য হবে। তাই ঋণ পরিশোধে সক্ষম কি না ভেবে জামিনদার হতে হবে।
এছাড়া জামিনদার হওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে লিখতভাবে জামিনদারের সম্ভাব্য দায়ের ধরন ও পরিমাণ সম্পর্কে জানা এবং ঋণের শর্তাবলি এবং জামিনদারের দায়-দায়িত্ব সম্পর্কে অবহিত হওয়াও জামিনদারের অধিকার। তাই জামিনদার হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার আগে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালিত না হলে বা কোনো প্রকার হয়রানি করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ করতেও বলা হয়।
এর আগে ঋণ নিতে ঋণগ্রহীতার উভয় হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপের পাশাপাশি ঋণের জামিনদাতাদেরও আঙুলের ছাপ দিতে হবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপন জারি করে।