নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের উন্নয়নে চীন অর্থ ব্যয় করতে রাজি এবং তাদের এ ইচ্ছার মধ্যে কোনো রাজনৈতিক অভিসন্ধি নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিস) চেয়ারম্যান এম ফজলুর করিম। তিনি বলেন, কোনো কোনো অর্থনীতিবিদ ঋণের ফাঁদের বিষয়ে সতর্ক করে থাকেন। এজন্য আমাদের উন্নয়ন প্রকল্প সতর্কতার সঙ্গে বাছাই করা দরকার। যেক্ষেত্রে ঋণের প্রয়োজন হবে, সেটির বিষয়ে দক্ষভাবে দরকষাকষি দরকার।
গতকাল ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড (বিআরআই)’ উদ্যোগের ওপর আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সুদের হার, কতদিনের মধ্যে অর্থ ফেরত দিতে হবেÑএ বিষয়গুলো বিশেষ করে বিবেচনা করা উচিত।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে ভূরাজনৈতিক দ্বন্দ্বের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘সবার সঙ্গেই আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকতে হবে। চীন ও অন্যরা যদি ভারত মহাসাগরে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে, তবে এটি তাদের বিষয়। কিন্তু আমরা এ ফাঁদে পা দেব না।
চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুনশি ফায়েজ আহমেদ বলেন, বিআরআই’র পূর্ণাঙ্গ সুফল পেতে হলে এ উদ্যোগে ভারত ও মিয়ানমারকে যোগ দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের একদিকে ভারত, অন্যদিকে মিয়ানমার ও একপাশে বঙ্গোপসাগর। প্রতিবেশী দেশগুলো বিআরআইতে যোগ না দিলে এর পরিপূর্ণ সুফল পাওয়া যাবে না।
ভারতে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক এ করিম বলেন, ‘বিআরআই অবশ্যই একটি ভূরাজনৈতিক বিষয়, কিন্তু এটি অন্য শক্তির সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয়ে পরিপূরক হলে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য ভালো হবে।’