নিজস্ব প্রতিবেদক: অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, ঋণের সুদ পরিশোধের ক্ষেত্রে অর্থনীতি বেশ চাপে থাকলেও পরিস্থিতি ততটা গুরুতর নয়। বৈশ্বিক প্রভাব ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে দেশীয় অর্থনীতি কিছুটা চাপে পড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) বাংলাদেশের চিফ অব মিশন আবদুসাত্তার ইসোয়েভের সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আইওএম বিদেশি অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করে। তারা প্রবাসীদের আনার জন্য কাজ করছে। ভবিষ্যতেও তারা এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।’ মূল্যস্ফীতির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ে কিছুটা অস্বস্তি আছে। এটি একটি পণ্যের জন্য কমে যায়, তবে অন্যটির জন্য বাড়ে। জোর করে কী করবেন? ধৈর্য ধরুন, সব ঠিক হয়ে যাবে।’
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে আবুল হাসান বলেন, বিদেশি ঋণ পরিশোধ করা হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ে কিছুটা অস্বস্তি আছে। একটা কমে আরেকটা বাড়ে। কী করব, জোর করে ধরে নামাব? তবে একটু ধৈর্য ধরেন সব কিছু ঠিক হবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের তথ্যমতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীকে ঋণের সুদ ও আসল বাবদ ২৬৭ কোটি ডলার দিয়েছে বাংলাদেশ। আগের অর্থবছরে যার পরিমাণ ছিল ২০১ কোটি ডলার।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতে, অনেক ঋণের গ্রেস পিরিয়ড শেষ হওয়ায় চলতি অর্থবছরে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বাড়ছে। এছাড়া, বাজার-ভিত্তিক ঋণের সুদহার বাড়ায় সুদ পরিশোধও বেড়েছে।
ইআরডির প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশকে মোট ৩৫৬ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হবে। আর ২০২৪-২৫ ও ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ হবে যথাক্রমে ৪২১ ও ৪৭২ কোটি ডলার।
এই প্রেক্ষাপটে আজ অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে অর্থনীতি নানামুখী চাপে আছে, সেসব নিয়েই চলতে হচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নয়নে কাজও করা হচ্ছে। ডলার সংকট ছিল কিন্তু তাতে সবকিছু আটকে নেই। এলসিও খোলা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ইফাদ হালদা নদীতে রেণু পোনার উন্নয়নে দুই বিলিয়ন ডলার ছাড় করেছে। এমন কাজ সামনে আরও করব। আইওএম অভিবাসন নিয়ে কাজ করে। প্রবাসীদের আনা-নেওয়ার কাজ করে তারা। সামনে এ ধরনের সহায়তা তারা অব্যাহত রাখবে।