ঋণ ও ক্রেডিট কার্ডে রিটার্ন জমার শর্ত শিথিল

নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত ঋণ গ্রহণ ও ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র জমা দেয়ার শর্ত শিথিল করা হয়েছে। ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে করযোগ্য আয় নেই এবং ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীÑএ দুই শর্ত সাপেক্ষে দুই শ্রেণির করদাতার রিটার্ন জমার শর্ত শিথিল করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল এ-সংক্রান্ত একটি বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে।

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে ৩৮ ধরনের সরকারি-বেসরকারি সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র বাধ্যতামূলক করা হয়। এ তালিকায় ব্যাংক থেকে ৫ লাখ টাকা বেশি ঋণ এবং সব শ্রেণি-পেশার মানুষের ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ রাখা হয়েছে। আগে এসব সেবা পেতে শুধু করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) সনদ জমা দিলেই চলত। কিন্তু চলতি অর্থবছরে এনবিআর রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র (প্রাপ্তি স্বীকারপত্র) ছাড়া এসব সেবা ব্যাংকগুলোকে না দিতে কঠোর আইন করে।

বিশেষ এ আদেশে বলা হয়েছে, আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী করারোপযোগ্য আয় না থাকা সাপেক্ষে ২০ লাখ টাকা সীমা পর্যন্ত ঋণ গ্রহণ এবং শিক্ষার্থী ক্যাটেগরিতে ২ লাখ টাকা সীমা পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের ক্ষেত্রে তফসিলি ব্যাংকসমূহে আয়ের রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার করা হলো। ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এই আদেশ বলবৎ থাকবে।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বছরে ৩ লাখ টাকার কম আয় রয়েছেÑএমন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যাংকে রিটার্ন জমার প্রাপ্তি স্বীকারপত্র জমা দিতে হবে না। বর্তমানে পাঁচ লাখ টাকার বেশি ঋণ আবেদন করলেই রিটার্নের প্রমাণপত্র ব্যাংকে জমা দিতে হয়। পাশাপাশি শিক্ষার্থী ক্যাটেগরিতে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের ক্ষেত্রেও প্রাপ্তি স্বীকারপত্র জমার বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেবা দেয়ার আগে সরকারি-বেসরকারি সব সংস্থাকে রিটার্ন জমার প্রাপ্তি স্বীকারপত্র যাচাইয়ে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয় চলতি বাজেটে। এ জন্য আয়কর আইনে পরিবর্তন আনা হয়। যদি কোনো সংস্থা সেবা দেয়ার আগে প্রাপ্তি স্বীকারপত্রের সঠিকতা যাচাই না করে তাহলে ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে। এ কারণে ব্যাংকগুলো ইতোমধ্যেই নিজ নিজ গ্রাহকদের রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র জমা দিতে মোবাইলে এসএমএস জানিয়ে দিয়েছে।    

অপরদিকে, যেসব সেবা পেতে রিটার্ন জমা দিতে হবে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো পাঁচ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র ক্রয়, ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ, কোনো কোম্পানির পরিচালক বা শেয়ারহোল্ডার হওয়া, ব্যবসায়িক সমিতির সদস্যপদ গ্রহণ, সন্তান বা পোষ্যের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ালেখা করা ও অস্ত্রের লাইসেন্স নেয়া। এ ছাড়া উপজেলা, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন ও জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হলে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০