শেয়ার বিজ ডেস্ক: বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ বিতরণের নিষেধাজ্ঞা থেকে বেরিয়ে এলো প্রথম প্রজন্মের বেসরকারী ব্যাংক “ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড”। বাংলাদেশ ব্যাংক আজ ১৯ আগস্ট বিতর্কিত এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ছয় ব্যাংকের ঋণ বিতরণে সীমা আরোপ করেছে। এ সব ব্যাংককে পাঁচ কোটি টাকার বেশি ঋণ দিতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিতে হবে। যেসব প্রতিষ্ঠানের কাছে মেয়াদোত্তীর্ণ ও সীমাতিরিক্ত ঋণ আছে, তা নগদ আদায় ছাড়া নবায়ন করা যাবে না।
ব্যাংক ছয়টি হলো-ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও কমার্স ব্যাংক। এর আগে বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংকের ক্ষেত্রেও একই সীমা বেঁধে দেওয়া হলেও এবারের তালিকায় ন্যাশনাল ব্যাংককের নাম নেই। ফলে ঋণ বিতরণে এখন আর কোন রূপ বাঁধা নেই।
এছাড়া ব্যবসায়িক গ্রুপ এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা ৭টি ব্যাংকসহ মোট ১২টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং নীতি ও প্রবিধি বিভাগ কার্যক্রম শুরু করেছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, দক্ষ ও পেশাদার ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে গঠিত হতে যাচ্ছে ন্যাশনাল ব্যাংকসহ উল্লেখিত ব্যাংক সমূহের নতুন পরিচালনা পর্ষদ ।
এ বিষয়ে ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো: তৌহিদুল আলম খান-এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “ন্যাশনাল ব্যাংক-এর ২৮৬ টি শাখা-উপ শাখার সমন্বয়ে সারা দেশব্যাপী রয়েছে বিশাল নেটওয়ার্ক -যার মাধ্যমে অচিরেই ব্যাংকটি অচিরেই ঘুড়ে দাঁড়াতে সক্ষম হবে।” উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম ছয়মাসে ন্যাশনাল ব্যাংক বিভিন্ন খেলাপী ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে নগদ প্রায় ৬০০ কোটি টাকা আদায় করেছে বলে জানান। তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে আমরা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কৃষি, ভোক্তা এবং এসএমই অর্থাৎ ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পের দিকেই বেশী জোর দিচ্ছি।”