Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 12:21 pm

ঋতু পরিবর্তনের এ সময়ে সাইনোসাইটিস

এই ঠাণ্ডা, এই গরম, আবার এই বৃষ্টি। কয়েক দিন ধরে আবহাওয়ার পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় সাইনোসাইটিস রোগীদের। এ সময়ে তাদের মাথাব্যথা, নাক বন্ধ ও জ্বর-জ্বর ভাব বেড়ে যায়। সাইনাস হলো মাথার খুলির হাড়ের মধ্যে অবস্থিত কিছু ফাঁকা জায়গা। চোখের পেছনে ও নাকের হাড়ের দুই পাশে এ রকম ফাঁকা জায়গা আছে। এই ফাঁকা জায়গায় সর্দি জমে সাইনোসাইটিস হয়।

যেসব সমস্যা লক্ষণীয়
এ সময় সাইনোসাইটিস রোগীদের প্রচণ্ড মাথাব্যথা করে। এ ব্যথা ঘন ঘন হয়ে থাকে। মাথাব্যথা সাধারণত কপাল বা গালের দুদিকে কিংবা চোখের পেছনে অনুভূত হয়। তাছাড়া ওপরের পাটির দাঁতেও ব্যথা হতে পারে। সঙ্গে জ্বর-জ্বর ভাব বা শীত-শীত অনুভূত হয়। সাইনোসাইটিসের মাথাব্যথা প্রচণ্ড রকমের হয় বলে বমি হয়। অনেক সময় দীর্ঘমেয়াদি জ্বর হয়। তাই এই সময়ে বন্ধ নাক, সর্দি ও জ্বরের সঙ্গে মাথাব্যথা হলে সতর্ক থাকুন এবং দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান।

পরামর্শ
# নাকে স্যালাইন স্প্রে বা ড্রপ দিলে জমে থাকা মিউকাস বা আঠালো পদার্থ নরম হয়ে আসবে এবং সাইনাসের ফোলা বা ব্লক কিছুটা হলেও দূর হবে। তবে তা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী করতে হবে
# আর্দ্র ও গরম বাতাস বন্ধ সাইনাস খুলে দিতে সহায়ক। রাতে ঘুমানোর আগে খানিকটা বাষ্প নিলে রাতে আরাম পাওয়া যায়। গরম পানি দিয়ে গোসল করে বাথরুমে কিছুটা সময় কাটান অথবা গামলায় গরম পানি নিয়ে বাষ্প নাক দিয়ে টেনে নিন
# খুব মাথাব্যথা করলে এক টুকরো কাপড় গরম পানিতে ভিজিয়ে কপাল ও চোখের ওপর বা নাকের দুপাশে সেক দিন। এতে সাইনাসের বদ্ধতা কাটবে, আরামও পাবেন
# চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করবেন না। মাথাব্যথা বেশি হলে প্যারাসিটামল খেতে পারেন
# অতিরিক্ত ঠাণ্ডা যেন না লাগে সেদিক থেকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। আবার অতিরিক্ত গরমে নিয়ন্ত্রিত ঠাণ্ডা পরিবেশে থাকতে হবে
# পরিবর্তিত আবহাওয়ায় ঘুমের সমস্যাও হয়ে থাকে। ঘুমের সঙ্গে সাইনোসাইটিসের সমস্যা জড়িত। তাই ঘুমের সমস্যা যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে
# এ সময় যদি সাইনোসাইটিসের ব্যথা বেশি হয় ও ফুলে যায়, সেক্ষেত্রে ভারী কাপড় হালকা গরম করে আক্রান্ত স্থানে চেপে ধরে রাখুন, এতে আরাম পাওয়া যাবে। এছাড়া ঘাড় থেকে মাথা পর্যন্ত গরম কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন, যাতে ঠাণ্ডা বাতাস না লাগে।