শঙ্কিত হোন কিংবা আহ্লাদিত আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বিপ্লব ঠিকই ঘটতে যাচ্ছে। এমনই আশা করছেন প্রযুক্তিসংশ্লিষ্টরা। ধারণা করা হচ্ছে, এআই প্রযুক্তি বিশ্ব অর্থনীতিতে বিশাল পরিবর্তন আনবে। হিসাব নিরীক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান প্রাইসওয়াটারকুপার হাউজের (পিডব্লিউসি) অনুমান, ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জিডিপিতে ১৫ দশমিক সাত ট্রিলিয়ন ডলার যোগ করবে এআই। অর্থাৎ অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান হবে। সংগত কারণে বিশ্বের অনেক প্রতিষ্ঠান অর্থ লগ্নি করছে এর পেছনে। এর মধ্যে শীর্ষস্থানীয় ১০০ প্রতিষ্ঠানের তালিকা করেছে সিবি ইনসাইটস।
সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করছে চীনের বাইটেড্যান্সÑপ্রায় তিন দশমিক এক বিলিয়ন ডলার। আর সবচেয়ে বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের, ৭৬টি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে অটো টেক, ইন্স্যুরেন্স, মার্কেটিং, সাইবার সিকিউরিটি, কৃষি, ট্যুরিজম, শিক্ষা, গণমাধ্যম, লাইফ সায়েন্স, স্বাস্থ্যসেবা প্রভৃতি খাতের প্রতিষ্ঠান। উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে বেনসন হিল বায়োসিস্টেম, এআইকিউর, কেপ অ্যানালাইটিকস, ক্যাপট্রিসিটি, কেসটেক্সট, ক্লাউডমাইন্ডস, মারলন ইন্টেলিজেন্স, অটো টেক, রিকারসন ফার্মাসিউটিক্যালস, অরবিট ইনসাইট, স্পার্ককগনিশন, আপস্টার্ট প্রভৃতি। ১০০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে তাইওয়ানের অ্যাপিয়ার। জাপানের রয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠান লিপমাইন্ড ও প্রেফার্ড নেটওয়ার্কস। ইসরাইলের রয়েছে ওরক্যাম টেকনোলজিস, প্রসপেরা, ও টুইগেল। যুক্তরাজ্যের বেবিলন, অনফিডো ও ট্রাকটেবল রয়েছে এ তালিকায়। চীনের প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে ইউবিটেক্স রোবোটিকস, সেন্সটাইম, মবভই, ফেস++, লিউলিশু, বাইটেড্যান্স ও ক্যামিব্রিকন। তালিকায় রয়েছে কানাডার তিনটি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে খেলাধুলাবিষয়ক একটি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। এ তালিকায় স্পেন ও ফ্রান্সের দুটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
গ্রন্থনা: রতন কুমার দাস
তথ্যসূত্র: ফরচুন