এইচআইভি যেভাবে সংক্রমিত হয়

বায়ু, খাদ্য অথবা সাধারণ ছোঁয়া বা স্পর্শে এইচআইভি ছড়ায় না। মানবদেহের কয়েকটি নির্দিষ্ট তরল পদার্থে (রক্ত, বীর্য, বুকের দুধ) এটি বেশি থাকে। ফলে এই তরল পদার্থগুলো আদান-প্রদানের মাধ্যমে এইচআইভি ছড়াতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে যে যে উপায়ে এইচআইভি ছড়ায়

আক্রান্ত রোগীর রক্ত ব্যক্তির দেহে পরিসঞ্চালন

আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহƒত সুচ বা সিরিঞ্জ অন্য কারও ব্যবহার

আক্রান্ত ব্যক্তির কোনো অঙ্গ অন্য ব্যক্তির দেহে প্রতিস্থাপন

আক্রান্ত মায়ের মাধ্যমে (গর্ভাবস্থায়, প্রসবকালে কিংবা মায়ের দুধ পানকালে)

অনিরাপদ দৈহিক মিলন

 

প্রতিরোধ

এইচআইভি সংক্রমণের উপায়গুলো জেনে এ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এইডস প্রতিরোধ করা সম্ভব। প্রতিরোধে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া যায়

অন্যের রক্ত গ্রহণ বা অঙ্গ প্রতিস্থাপনে আগে রক্তে এইচআইভি আছে কি না পরীক্ষা করে নেওয়া

ইনজেকশন নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবারই নতুন সুচ বা সিরিঞ্জ ব্যবহার করা

অনিরাপদ যৌন আচরণ থেকে

বিরত থাকা

আক্রান্ত মায়ের সন্তান গ্রহণ বা সন্তানকে বুকের দুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া

কোন যৌন রোগ থাকলে বিলম্ব না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া

 

যৌনরোগ ও এইচআইভি

সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ (এসটিডি) ও সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ইনফেকশন (এসটিআই) রোগ বা সংক্রমণ সাধারণত অনিরাপদ যৌনমিলনের মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে। কিছু যৌনরোগ যৌনমিলন ছাড়া অন্য উপায়েও সংক্রমিত হতে পারে। যৌনরোগগুলো ভাইরাসঘটিত অথবা ব্যাকটেরিয়াঘটিত হতে পারে। এ ধরনের প্রধান রোগগুলো হলো গনোরিয়া, সিফিলিস, ক্ল্যামিডিয়া, এইচআইভি, জননেন্দ্রিয়ের চর্মরোগ ও ফোঁড়া, হেপাটাইটিস-বি প্রভৃতি। লক্ষণগুলো হলো যৌনাঙ্গ বা এর আশেপাশে ঘা বা চুলকানি হওয়া, প্রস্রাবের সময় ব্যথা ও জ্বালা করা, যৌনাঙ্গ থেকে পুঁজ পড়া প্রভৃতি।

যৌনরোগ ও এইচআইভির মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান। যৌনরোগে আক্রান্ত ব্যক্তির এইচআইভি দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি।

 

এইডস আক্রান্ত রোগীর পরিচর্যা

মারণব্যাধি এইডসের পরিণতি ভয়াবহ। আক্রান্ত ব্যক্তি অতি সহজে অন্যকে সংক্রমিত করে না এবং আক্রান্ত হওয়ার পর তার কর্মক্ষমতা হারিয়ে যায় না। তাই লক্ষ্য রাখা উচিত এইডস আক্রান্ত ব্যক্তিকে সমাজ থেকে যেন বিচ্ছিন্ন করা না হয়। তাকে স্বাভাবিক জীবন-যাপনে উৎসাহিত করতে হবে। এক্ষেত্রে তাদের প্রতি আমাদের করণীয়

আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ

মানসিকভাবে প্রফুল্ল রাখার চেষ্টা

যত্নবান হওয়া

সমান সুযোগ দেওয়া

নিত্যনৈমিত্তিক কাজ থেকে বঞ্চিত

না করা

প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হ

 

 

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০