নিজস্ব প্রতিবেদক: এইচএসসি ও সমমানের প্রকাশিত ফল নিয়ে যাদের সন্দেহ রয়েছে, সেসব শিক্ষার্থীর ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসএমএসের মাধ্যমে ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করা যাবে। প্রতি বিষয়ে ফল পুনঃনিরীক্ষার জন্য আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০০ টাকা।
গত বুধবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ফল পুনঃনিরীক্ষার বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুধু টেলিটকের প্রিপেইড নম্বর থেকে ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করা যাবে। প্রথমে মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে জঝঈ লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিনটি অক্ষর লিখতে হবে (যেমন ঢাকা বোর্ডের ক্ষেত্রে উযধ বরিশাল বোর্ডের ক্ষেত্রে ইধৎ)। এরপর স্পেস দিয়ে রোল লিখে আবার স্পেস দিয়ে বিষয় কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস করতে হবে। (যেমন: জঝঈ উঐঅ ১২৩৪৫৬ ১৭৪ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।)
একাধিক বিষয়ের উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষার জন্য কমা দিয়ে সাবজেক্ট এসএমএস করতে হবে। যেমন ১৭৪, ১৭৫, ১৭৬ প্রভৃতি।
মেসেজ সেন্ড হলে টেলিটক থেকে পিন নম্বরসহ কত টাকা নেয়া হবে তা জানিয়ে একটি এসএমএস আসবে। পিন নম্বরটি সংগ্রহ করতে হবে। এরপর এতে সম্মত হলে আবার মেসেজ অপশনে জঝঈ লিখে স্পেস দিয়ে ণঊঝ লিখে স্পেস দিয়ে ‘পিন নম্বর’ লিখে স্পেস দিয়ে নিজস্ব মোবাইল ফোন নম্বর (যেকোনো অপারেটর) লিখে ১৬২২২ নম্বরে সেন্ড করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতি বিষয়ে পুনঃনিরীক্ষণের আবেদনের জন্য ফি ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দ্বিপত্র বিশিষ্ট বিষয়ে শুধু প্রথম পত্রের আবেদন করতে হবে। প্রথম পত্রের আবেদন করলে দ্বিতীয় পত্রের আবেদনও বিবেচিত হবে। দুই পত্রের জন্য ৩০০ টাকা ফি প্রযোজ্য হবে।
ফল পুনঃনিরীক্ষণে কোনো ম্যানুয়াল আবেদন গ্রহণ করা হবে না বলে জানানো হয়েছে।
২০২২ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল বুধবার প্রকাশিত হয়েছে। এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১১ লাখ ৭৭ হাজার ৩৮৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১০ লাখ ১১ হাজার ৯৮৭ জন। পাসের হার ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
