নিজস্ব প্রতিবেদক: ২ এপ্রিল শুরু হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে এবার কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। আজ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি ঘোষণা দেওয়া হবে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।
ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ জিয়াউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, পরীক্ষার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৯ মার্চ থেকে পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে। এছাড়া সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজনে আরও বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেগুলোও বাস্তবায়ন করা হবে।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জাবেদ আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে এবং পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বেশ কিছু সিদ্ধান্তের বিষয়ে আদেশ জারি হবে। তার মধ্যে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত রয়েছে। তবে এইচএসসি পরীক্ষার সময় শুধু উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের কোচিং কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর বাইরে কোচিং সেন্টার খোলা রাখতে পারবে।
তিনি বলেন, ২৫ মার্চ অনুষ্ঠিত পাবলিক পরীক্ষা-সংক্রান্ত জাতীয় তদারক কমিটির সভায় যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সেগুলোও আদেশ আকারে জারি হবে। এছাড়া পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে মোবাইল ফোনসহ ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ, কেন্দ্র সচিব ছাড়া আর কেউ মোবাইল ফোন কেন্দ্রে আনতে পারবে না। তবে কেন্দ্র সচিবও শুধু একটি সাধারণ ফোন ব্যবহার করবেন।
এছাড়া এবার ট্রেজারি বা থানা থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে নিতে হবে। পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে। এছাড়া কোনো প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা, তার সেট নির্ধারণ করা হবে পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে। তবে কোচিং সেন্টার বন্ধের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কোচিং অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহাবুব আরেফিন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, কোচিং সেন্টার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত না হলেও পরীক্ষার আগে তা বন্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে। এতে আমরা আর্থিকভবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। আমরা বিভিন্নভাবে এর প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার বিকালে জরুরি সভা হয়েছে। সেখানে আন্দোলনের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে কী আন্দোলন হবে তা স্পষ্ট করেননি।
