Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 4:12 pm

এই তফসিলের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই: ইসলামী আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক: দলীয় সরকারের অধীনে ঘোষিত তফসিল বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ। সমাবেশে সভাপতি মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, এই তফসিল আমরা মানি না। জনগণ আওয়ামী লীগের পক্ষে নেই। এই তফসিলের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। জনগণ এই তফসিল মানে না।

গতকাল শুক্রবার বেলা আড়াইটায় ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তরগেট থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি পল্টন মোড় হয়ে বিজয় নগর পানির ট্যাঙ্কি মোড় ঘুরে আবার বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় কর্মসূচি।

বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম। এসময় ঢাকা দক্ষিণের বিভিন্ন ইউনিটের অসংখ্য নেতাকর্মী মিছিলে অংশ নেন।

এর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের কথা বলে, অথচ গণতন্ত্রের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই । তফসিলের পর আওয়ামী সরকার আনন্দ মিছিল করছে, এতেই বোঝা যায় এটা প্রহসনের নির্বাচন। আমরা নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ চাই। আপনারা আওয়ামী কর্মীদের কন্ট্রোল করতে পারেননি, তারা বিভিন্ন জায়গায় আনন্দ মিছিল করছে। এই তফসিল আমরা মানি না।

সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম আরও বলেন, ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। অবৈধ সরকারের নীলনকশার এই তফসিল বাতিলের দাবিতে আমাদের আন্দোলন। এই তফসিল আমরা মানি না।

এসময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মোসাদ্দিক বিল্লাহ বলেন, মাজাভাঙা নির্বাচন কমিশন যে তফসিল ঘোষণা করছে, এই তফসিলকে আমরা ঘৃণা করি। এই কমিশনের পদত্যাগ চাই। কোনো সরকার স্থায়ীভাবে ক্ষমতা থাকতে পারেনি, আপনারাও পারবেন না। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) নিরপেক্ষ ভোট দিয়ে দেখুন, দেখা যাবে আপনি কত ভোট পান।

তিনি বলেন, আপনি সম্মান নিয়ে ক্ষমতা ছাড়েন। না হয় তফসিল বাতিল ঘোষণা করে সমঝোতার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দিতে হবে।

এছাড়া যারা বিরোধী দল তফসিল বাতিলের দাবিতে কর্মসূচি করবে, তাদের প্রতিবাদ করতে দিন। সুতরাং আমাদের এক দফা এক দাবি শেখ হাসিনার পদত্যাগ।