এএটি কোয়ালিফিকেশন বাংলাদেশে

একেএস খান সেন্টার ফর এক্সিলেন্সের (এসিই) সঙ্গে যৌথভাবে এএটি কোয়ালিফিকেশন এক্সামিনেশন এনেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। ১৯৩৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্রিটিশ কাউন্সিল রয়্যাল চার্টার ও ইউকে পাবলিক বডি দ্বারা পরিচালিত যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থা। বিশ্বজুড়ে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ও শিক্ষার সুযোগ নিয়ে কাজ করে সংস্থাটি। ১০০টির বেশি দেশে শিল্প, সংস্কৃতি, ইংরেজি ভাষা, শিক্ষা ও সমাজ গঠনে কাজ করে। অনলাইনে, ব্রডকাস্ট ও বিভিন্ন প্রকাশনার মাধ্যমে ২০১৬ সালে সরাসরি ৬৫ মিলিয়ন, সর্বোপরি ৭৩১ মিলিয়ন মানুষের কাছে পৌঁছেছে তারা। সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ও শিক্ষাবিষয়ক সুযোগ তৈরি নিয়ে কাজ করে ব্রিটিশ কাউন্সিল। বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রফেশনাল বডির হয়ে বাংলাদেশে অসংখ্য পরীক্ষা পরিচালনা করে ব্রিটিশ কাউন্সিল। এর একটি এএটি।

অ্যাকাউন্টিংয়ে উচ্চ সনদ দেওয়ার লক্ষ্যে অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাকাউন্টিং টেকনিশিয়ানস (এএটি) কোর্স পরিচালনা করার স্বীকৃতি অর্জন করেছে এসিই (একেএস খান সেন্টার ফর এক্সিলেন্স)। পাঠক আগেই জেনেছেন, এ কোর্সের পরীক্ষা পরিচালনা করবে ব্রিটিশ কাউন্সিল। এজন্য সম্প্রতি ব্রিটিশ কাউন্সিল প্রাঙ্গণে যৌথভাবে যুক্তরাজ্যের এএটি কোয়ালিফিকেশনসের উদ্বোধনী সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

ভোকেশনাল অ্যাকাউন্টেন্টদের জন্য এএটি যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় সনদপ্রদানকারী পেশাদার সংগঠন। যে কোনো বয়স কিংবা যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষের ক্ষেত্রে এ সনদের পরিসীমা উম্মুক্ত। এএটি কোয়ালিফিকেশনের পাশাপাশি এতে থাকছে হিসাবরক্ষণসহ অন্য আর্থিক যোগ্যতা।

ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডেপুটি ডিরেক্টর অ্যানড্রিউ নিউটন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির বৃদ্ধি ঘটছে। পরবর্তী এক কিংবা দুই দশকের মধ্যে এ দেশের অর্থনীতি বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহৎ এ অর্থনীতিতে প্রয়োজনীয় অনুপাতে দক্ষতাসম্পন্ন কর্মশক্তির প্রয়োজন হবে। বিশ্বখ্যাত এএটি কোয়ালিফিকেশন দেওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব এ দক্ষতা অর্জনে সক্ষম হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা উচ্চ মানসম্পন্ন পরীক্ষা, পরীক্ষাপত্র এবং ফলে গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা রক্ষার নিশ্চয়তা দিচ্ছি।

এসিই’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও এএটি কোর্স লিডার মুকতাদির রহমান বলেন, অ্যাকাউন্টিং ও ফাইন্যান্স খাতে ক্যারিয়ার গঠনে এএটি কোয়ালিফিকেশন সহায়তা করে থাকে। ফাইন্যান্সিয়াল দক্ষতা বৃদ্ধি ও পেশাদারিত্ব অর্জনে শিক্ষার্থীদের সুবিধা প্রদান করে এটি। কোর্সটি বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত

হয়ে থাকে।

অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার-সংক্রান্ত এএটি কোয়ালিফিকেশন ছাড়াও ধানমন্ডির ৭-এর রূপায়ণ প্রাইমে অবস্থিত দি একেএস খান সেন্টার ফর এক্সিলেন্সে (এসিই) সর্বোচ্চ ৫০ জনের একটি রুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে এখানে কোর্স শুরু হবে। এসিই’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সামানজার এস. খান বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য কোয়ালিফিকেশন হচ্ছে এএটি। ব্যবসা, জনসংগঠন ও দাতা সংস্থাগুলোয় প্রশিক্ষিত ফাইন্যান্সকর্মীর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি যারা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম, সেসব শিক্ষার্থীর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০