বাংলাদেশের জলবায়ু প্রকল্প

এএসইএম অংশীদারদের বিনিয়োগ প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর

শেয়ার বিজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বদ্বীপ পরিকল্পনার মতো বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি জলবায়ু প্রকল্পে এএসইএম অংশীদারদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি এশিয়া ও ইউরোপকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় কার্যকরভাবে লড়াইয়ের জন্য অর্থ ও প্রযুক্তি প্রবাহকে সংহত করতে ঐক্যদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। খবর: বাসস।

কম্বোডিয়ার নমপেনে বৃহস্পতিবার থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী ১৩তম এএসইএম শীর্ষ সম্মেলনে প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আমি সব আগ্রহী এএসইএম অংশীদারদের আমাদের দীর্ঘমেয়াদি বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা এবং মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার আওতায় প্রকল্পগুলোয় বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ আহ্বান জানাচ্ছি।

এএসইএমের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এএসইএম১৩-এর সামগ্রিক প্রতিপাদ্য ‘অংশীদারি প্রবৃদ্ধির জন্য বহুপাক্ষিকতাকে শক্তিশালী করা’ শীর্ষক সম্মেলন ইউরোপ ও এশিয়ার সদস্য দেশ, ইইউ ও আসিয়ান সচিবালয়ের নেতাদের একত্র করেছে। কম্বোডিয়া বর্তমানে এএসইএমের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছে। 

শেখ হাসিনা বলেন, এশিয়া ও ইউরোপকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অর্থ ও প্রযুক্তি প্রবাহ সংহত করতে অবশ্যই একত্র হয়ে হাতে হাত মেলাতে হবে। তিনি বলেন, যৌথ ও টেকসই উন্নয়নের জন্য আমাদের এখন আগের চেয়ে আরও বেশি করে বহুপক্ষীয় সহযোগিতা প্রয়োজন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ তার প্রতিবেশীদের জন্য সম্ভাবনাময় সুবিধা-সংবলিত একটি আঞ্চলিক সংযোগ কেন্দ্র হতে চায়। ইইউ-এশিয়া সংযোগ কৌশলের অন্যতম সেতু হওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের এলডিসি থেকে উত্তরণের গতি বজায় রাখার আশা করি। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের দিকে আমাদের মনোযোগ থাকবে। আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলা। এই লক্ষ্য অর্জনে এশিয়া ও ইউরোপের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ।

প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন অনুদানের জন্য এশিয়া, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানসম্পন্ন ভ্যাকসিন উৎপাদনের ক্ষমতা আছে। আমরা চাই প্রযুক্তিগত জ্ঞান এবং এজন্য লাইসেন্স।’

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের পরে এটি আন্তর্জাতিক নেতৃত্বের বৃহত্তম সম্মেলন (এতে ৩০টি ইউরোপীয় ও ২১টি এশীয় দেশের সঙ্গে ইইউ ও আসিয়ান সচিবালয় রয়েছে।)

এএসইএমে ইইউ’র ২৭ সদস্য দেশের পাশাপাশি নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে।

কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুনসেন সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল এবং ইউরোপিয়ান কমিশন প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন ইইউ’র প্রতিনিধিত্ব করেন। স্লোভানিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানেস জানসা পর্যায়ক্রমে ইইউ’র কাউন্সিলে প্রতিনিধিত্ব করেন। ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড সিকিউরিটি-বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি জোসেফ বোরেল সম্মেলনে অংশ নেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০