শেয়ার বিজ ডেস্ক: সূর্যের আলোয় বদলে গেলো হাতে থাকা স্মার্টফোনের রং! স্মার্টফোনের লুক আর ডিজাইনের পাশাপাশি পরিবর্তন আসছে রঙের ব্যবহারেও। সেই উদ্ভাবনকেই তুলে ধরছে গ্লোবাল স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো। ভিভোর নতুন ফোনে থাকছে রঙের চমক।
কালার চেঞ্জিং গ্লাস ডিজাইন নিয়ে শিগগিরই আসছে ভিভোর নতুন স্মার্টফোন ভিভো ভি৩০ লাইট। প্রিমিয়াম ডিজাইনের এই স্মার্টফোনের ব্যাক সাইডে পাওয়া যাবে চমৎকার এই সুবিধা। ইউভি লাইট বা সূর্যের আলোতে মুহূর্তেই পরিবর্তন হবে ব্যাক সাইডের কালার। দেবে অভিনব লুক।
ভিভো ভি৩০ লাইট এর প্রিমিয়াম ডিজাইনে আরো যুক্ত হয়েছে ম্যাটালিক হাই গ্লোস ফ্রেম। যারা কম সময়ে দ্রুত চার্জ দিতে চান তাদের জন্য বাজেটের মধ্যে সর্বোচ্চ চার্জিং সুবিধাও রেখেছে ভিভো। ভিভো ভি৩০ লাইট স্মার্টফোনটিতে থাকবে ৮০ ওয়াটের ফ্ল্যাশ চার্জার। যা মাত্র ৪৩ মিনিটেই এর ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি শূন্য থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ করতে সক্ষম।
গ্লোবাল স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ভিভো এবার দ্রুত চার্জে পাশাপাশি ব্যাটারি হেলথ নিয়েও গবেষণা করেছে। এর ফলাফল পাওয়া যাবে ভিভোর নতুন এই স্মার্টফোনে।
ভিভো ভি৩০ লাইটে থাকছে সুপার চার্জ পাম্প। এটি যেমন এর ব্যাটারি দ্রুত চার্জ করবে তেমনি সবচেয়ে কম তাপ উৎপন্ন করে স্মার্টফোনের ব্যাটারিকে সুরক্ষিত রাখবে। ফলে চার্জের সময়ে, মাল্টিটাস্কিং বা প্রচন্ড রোদের তাপেও ভিভো ভি৩০ লাইট থাকছে ঠান্ডা।
মাত্র ৭.৭৯ মিলিমিটার স্লিম বডি থাকছে ভিভো ভি৩০ লাইট স্মার্টফোনে। ডিসপ্লে হিসেবে থাকছে ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের ৬.৬৭ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে। থাকবে ৮ জিবি র্যাম যা বাড়ানো যাবে আরো ৮ জিবি পর্যন্ত। সাথে আরো থাকছে ২৫৬ জিবি স্টোরেজ সক্ষমতা।
ভিভো প্রসঙ্গে
ভিভো একটি প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান যা মানুষের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে স্মার্ট ডিভাইস ও ইন্টেলিজেন্ট সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন করে। মানুষ আর ডিজিটাল ওইয়ার্ল্ডের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য। অনন্য সৃজনশীলতার মাধ্যমে ভিভো ব্যবহারকারীদের হাতে যথোপযুক্ত স্মার্টফোন ও ডিজিটাল আনুষাঙ্গিক তুলে দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধকে অনুসরণ করে ভিভো টেকসই উন্নয়ন কৌশল বাস্তবায়ন করেছে; সমৃদ্ধ ও দীর্ঘস্থায়ী বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান হওয়াই যার ভিশন।
স্থানীয় মেধাবী কর্মীদের নিয়োগ ও উন্নয়নের মাধ্যমে শেনজেন, ডনগান, নানজিং, বেজিং, হংঝু, সাংহাই, জিয়ান, তাইপে, টোকিও এবং সান ডিয়াগো এই ১০টি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে (আরএন্ডডি) কাজ করছে ভিভো।
যা স্টেট-অফ-দ্য-আর্ট কনজ্যুমার টেকনোলজির উন্নয়ন, ফাইভজি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন, ফটোগ্রাফি এবং আসন্ন প্রযুক্তির ওপর কাজ করে যাচ্ছে। চীন, দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ভিভোর পাঁচটি প্রোডাকশন হাব আছে (ব্র্যান্ড অথোরাইজড ম্যানুফ্যাকচারিং সেন্টারসহ) যেখানে বছরে প্রায় ২০০ মিলিয়ন স্মার্টফোন বানানোর সামর্থ্য আছে। এখন পর্যন্ত ৬০টিরও বেশি দেশে বিক্রয়ের নেটওয়ার্ক আছে ভিভোর এবং বিশ্বজুড়ে ৪০০ মিলিয়নের বেশি ভিভো স্মার্টফোন ব্যবহারকারী রয়েছে।