নিজস্ব প্রতিবেদক: রপ্তানিমুখী শিল্প খাতের শ্রমিক-কর্মচারিদে বেতন-ভাতা দিতে সরকার পাঁচ হাজার কোটি টাকার ঋণ তহবিল গঠন করেছে সরকার। এখাত থেকে নেয়া ঋণ গ্রাহকের একক ঋণ সীমায় যুক্ত হবে না অর্থৎ ঋণটি পৃথক দেখানো হবে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, কোনো একক গ্রাহককে ফান্ডেড, নন-ফান্ডেড মিলে মোট মূলধনের সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ ঋণ দিতে পারে যেকোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক। এ ঋণ সীমা অতিক্রম করলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনাপত্তি নিতে হয়। এখন রপ্তানিমুখী শিল্পখাতের শ্রমিকদের বেতন ভাতা দেওয়া তহবিলে মালিকদের যে ঋণ দেওয়া হবে সেটি একক ঋণগ্রহীতার সীমা হিসাবায়নের বাইরে থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত একাটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। এ বিষয়ে সার্কুলারে বলা হয়েছে ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ এর ১২১ ধারার ক্ষমতাবলে তফসিলী ব্যাংকে আলোচ্য তহবিল হতে প্রদত্ত ঋণে একক ঋণগ্রহীতার সর্বোচ্চ সীমা হিসাবায়নের ক্ষেত্রে ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ এর ধারা ২৬(খ) এর উপধারা-১এর বিধান পরিপালন হইতে সাধারণভাবে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
গত ২ এপ্রিল রপ্তানিমুখী শিল্প খাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিতে ৫০০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করে সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই সার্কুলার অনুযায়ী, এ তহবিল থেকে কেবল সচল রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা ঋণ পাবেন। এজন্য তাদের এককালিন গুনতে হবে দুই শতাংশ সার্ভিস চার্জ। ছয় মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ এই ঋণের টাকা পরিশোধে সময় পাবে ২ বছর।