প্রতিনিধি, গাজীপুর: কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘একটা ডিমের উৎপাদন খরচ ৫ থেকে ৬ টাকা। সেই ডিম সর্বোচ্চ ৮ টাকা বিক্রি হতে পারে। কিন্তু তা না করে সেই ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৩ টাকা। এটা কেন? একটা ডিমের দাম ১৩ টাকা হবে কেন? এটা কি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না? এ ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।’
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালার উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, কোনো কারণে ডিমের সরবরাহ কমে গেলে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী, ফার্মের মালিক, হ্যাচারির মালিক নানারকম চক্রান্ত করে ডিমের দাম বাড়িয়ে দেন। মানুষকে জিম্মি করে ফেলেন। তাদেরবিরুদ্ধে কঠোর মনিটরিং (তদারকি) ব্যবস্থা চালু করা উচিত।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ডিম আমদানি করলে আমাদের আমদানিনির্ভরতা বাড়বে, যা আমরা সমর্থন করি না। একটু কষ্ট হবে, প্রয়োজনে ডিম কম খাব। তবু স্থানীয়ভাবেই ডিম উৎপাদন করে খেতে হবে। এটা চাহিদা ও সরবরাহের বিষয়। সরবরাহ কমে গেছে বলেই ডিমের বাজারে এত অস্থিরতা। এ সুযোগেই অসাধু চক্র নানা কৌশলে লাভবান হচ্ছে। তাদের নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষিসচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. রুহুল আমিন তালুকদার, কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান এএফএম হায়াতুল্লাহ, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ারসহ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তারা।
আয়োজকরা বলেন, এ কর্মশালার কারিগরি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৩ ও ১৯ অক্টোবর। বর্তমানে ২১১টি ফসল নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম চলমান। ইতোমধ্যে ৬২৫টি উচ্চ ফলনশীল জাত, ৬১২টি উন্নত উৎপাদন প্রযুক্তিসহ ১ হাজার ২৩৭টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে।