একটি দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিতে পূর্ণ শক্তি প্রয়োজন

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, একটা দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য অর্ধেক শক্তি দিয়ে কাজ করলে এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। তিনি বলেন, সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে কাজ করলেই সেই দেশ ও জাতি সামনের দিকে এগিয়ে যায়। তিনি বলেন, সারাদেশে ৯ হাজারের অধিক ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে একজন পুরুষের পাশাপাশি একজন করে নারী উদ্যোক্তা রয়েছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিমন্ত্রী গত বৃহস্পতিবার নাটোরের সিংড়ায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন ‘হার পাওয়ার’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নাটোর, সিরাজগঞ্জ ও জয়পুরহাট জেলার ৫৮০ জন নারী প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছেন। বর্তমান সরকার নারীর ক্ষমতায়নের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছেন। বিগত ১৫ বছরে সারাদেশে ধাপে ধাপে তরুণ-তরুণীদের দক্ষ মানব সম্পদে এবং স্বাধীন পেশায় সফলভাবে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক নয়, উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যন্ত উদ্যোক্তা সংস্কৃতির বিকাশ এবং তরুণ-তরুণীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রশিক্ষণার্থীরা যদি উদ্যোক্তা হতে চায় তবে তাদের জন্য স্টার্টআপ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ৫০ লাখ থেকে ৫ কোটি বিনিয়োগ করা হবে। এ জন্য তাদের যোগ্যতা অর্জনের আহ্বান জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করে দেশের প্রতিটা নাগরিককে অসাম্প্রদায়িক, দেশপ্রেমিক, প্রগতিশীল, উদ্ভাবনী, সৃজনশীল স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিকে ক্যাশলেস, সরকারি সেবা ব্যবস্থাকে পেপারলেস, ফেইসলেস, কানেক্টেড ও দুর্নীতিমুক্ত স্মার্ট সরকার ব্যবস্থায় কাজ করা হচ্ছে।

পলক আরও বলেন, সারা বাংলাদেশে যত ডাকঘর আছে সেই ডাকঘরগুলোকে উন্নত, আধুনিক, স্মার্ট ডাকঘরে পরিণত করা হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কোনো উৎপাদিত পণ্য স্মার্ট ডাকঘরের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা যেন ৩০ লাখ প্রবাসী বাঙালির কাছে পাঠাতে পারে, সে লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ফেব্রুয়ারিতে ৫টি ডাকঘরকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট হিসেবে পাইলট প্রকল্প শুরু করব এবং মে মাসের মধ্যে দেশের ৫০০টি ডাকঘরকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে পরিণত করা হবে বলেও তিনি জানা। বাংলাদেশে ই-কমার্স উদ্যোক্তারা তাদের পণ্যের আদান-প্রদান, আর্থিক লেনদেন সহজ ও স্মার্টভাবে করতে পারে সে জন্য ডাক অধিদপ্তরের সব কার্যক্রমকে পর্যায়ক্রমে স্মার্ট ডাকঘরে পরিণত করা হবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন হার পাওয়ার প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক রায়হানা ইসলাম।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০