বই পড়ার চর্চা বাড়াতে আগ্রহী শিক্ষক ও অভিভাবকরা। এজন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন তারা। একই সঙ্গে সরকারও এ বিষয়ে বেশ আন্তরিক। তাই সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বই পড়ার চর্চা বাড়াতে স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাসে অন্তত একটি দিন জেলা পর্যায়ের গ্রন্থাগারে নেওয়ার সুপারিশ করেছে।
গত ২০ সেপ্টেম্বর সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। একই সঙ্গে সাংস্কৃতিক চর্চা বাড়ানো ও ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির মাধ্যমে বই পড়ায় শিক্ষার্থীসহ সবাইকে আগ্রহী করার বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। এখানে বিভাগীয় শহরের মতো জেলা পর্যায়েও পাঠচক্র চালুর ওপরে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বই পড়ার চর্চার পাশাপাশি শ্রেণিভিত্তিক বই পড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনেরও চিন্তা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের আঁকা ছবি জেলা পর্যায়ের গ্রন্থাগারে সংরক্ষণের পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের।
সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, বই পড়ার মাধ্যমে নানা বিষয়ের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে কোমলমতি শিশুরা। তারা জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি চিন্তার সমৃদ্ধি ঘটাতে পারবে। বই তাদের জীবনে পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে। বিকশিত হবে তাদের মেধা। গ্রন্থাগারে যাওয়ার মধ্য দিয়ে তাদের মধ্যে সৃষ্টিশীল মন গড়ে উঠবে। তারা সৃজনশীল মানুষ হয়ে উঠবে।
Add Comment