একনেকে অনুমোদন: ৪৯০ উপজেলায় হচ্ছে আইসিটি কেন্দ্র

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞানের মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়নে শুরু হওয়া ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। ৫৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটি ২০২২ সালে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ‘তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন’ শিরোনামে প্রকল্পটির দ্বিতীয় পর্যায়ের মাধ্যমে নারীদের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞান পৌঁছে দিতে দেশের ৪৯০টি উপজেলায় তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় গতকাল প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় এ প্রকল্পটিসহ আটটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে মোট ব্যয় হবে দুই হাজার ৭২৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা। একনেক সভার পর বিস্তারিত সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

মোট ব্যয়ের মধ্যে এক হাজার ৯২৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এবং প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে ৭৯৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

মুস্তফা কামাল বলেন, এর আগে ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ‘তথ্য আপা: প্রথম পর্যায়’ বাস্তবায়িত হয়েছিল। ওই পর্যায়ে ১৩টি উপজেলার ১৩টি তথ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে এখন দরিদ্র গ্রামীণ নারীদের তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োজনীয় সব সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। সে সফলতায় এবার দ্বিতীয় পর্যায়ের অনুমোদন দেওয়া হলো। তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে দেশের এক কোটি নারীর প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা প্রকল্পের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য।

সভায় অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘কনভারশন অব ১৫০ মেগাওয়াট সিলেট গ্যাস টারবাইন পাওয়ার প্লান্ট টু ২২৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট’ প্রকল্প। এটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯৬ কোটি টাকা। গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (চট্টগ্রাম অঞ্চল) প্রকল্পে ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪৩৬ কোটি টাকা। দেশের পার্বত্য অঞ্চলের শ্রমিকদের কল্যাণ সুবিধাদি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় হবে ৬৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। নেত্রকোনা-বিশিউড়া-ঈশ্বরগঞ্জ সড়ক উন্নয়নে ব্যয় হবে ২৬১ কোটি টাকা।

এছাড়া লাঙ্গলবন্দ-কাইকারটেক-নবীগঞ্জ জেলা মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ হতে মিনারবাড়ি পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (বারটান) অবকাঠামো নির্মাণ ও কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৩৩২ কোটি ১২ লাখ টাকা এবং কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও মসলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্পে ব্যয় ১৬৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০