নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী জাতীয় নির্বাচনে ব্যবহারের জন্য দুই লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ওঠেনি বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
গতকাল মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
এমএ মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, প্রকল্পটি একনেক সভার আজকের কার্যতালিকায় ছিল না। প্রধানমন্ত্রীও এই বিষয়ে কোনো কিছু জানতে চাননি। আমরা নিজেরাও এ বিষয়ে কিছু বলিনি।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোট নিতে চায় নির্বাচন কমিশন। গত ১৯ অক্টোবর ইভিএম কিনতে আট হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার একটি প্রকল্পের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। প্রকল্পটির নাম ‘নির্বাচনী ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা’।
তবে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ইভিএমে ভোট গ্রহণের বিষয়ের বিরোধিতা করে আসছে।
এদিকে জাতীয় অর্থনৈতিকপরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় খুলনা মহানগরীর উন্নয়নে ৪৯১ কোটি ২৮ লাখ ৬১ হাজার টাকার একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
প্রকল্প ব্যয়ের ৩৬ শতাংশ (১৭৮ কোটি ৪৬ হাজার টাকা) সরকার (জিওবি), ৬৩ শতাংশ (৩১২ কোটি ২৮ লাখ ১৫ হাজার টাকা) জার্মান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (কেএফডব্লিউ) এবং এক কোটি টাকা কেসিসির নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নকাল নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, দ্রুত নগরায়ণ এবং শহরমুখী ক্রমবর্ধমান জলবায়ু উদ্বাস্তুদের নাগরিক সেবা প্রদান, সর্বোপরি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলার লক্ষ্য নিয়ে প্রকল্পটির প্রস্তাব করা হয়।
নগরবাসীর প্রত্যাশা পূরণে প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়ায় সিটি মেয়র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নে তিনি (শেখ হাসিনা) সব সময় আন্তরিক। এর আগেও তিনি খুলনা মহানগরীর উন্নয়নে তিনটি প্রকল্পের অনুকূলে প্রায় এক হাজার ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ মহানুভবতা খুলনাবাসী চিরকাল শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
প্রকল্পের আওতায় নগরীর সোনাডাঙ্গা বাইপাস রোড ও ড্রেন উন্নয়ন, নবীনগর সাব-ক্যাচমেট ড্রেন উন্নয়ন, নিরালা খাল, বাস্তুহারা খাল ও দেয়ানা চৌধুরী খাল উন্নয়ন এবং বাস্তুহারা খালের সঙ্গে সংযুক্ত ড্রেনগুলোর উন্নয়ন, রূপসা রিভার ফ্রন্ট পার্ক নির্মাণ, মহানগরীর ২৩টি পুকুর উন্নয়ন, দৌলতপুর ও মহেশ্বরপাশায় শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ, মহেশ্বরপাশা শ্মশানঘাট উন্নয়ন, আলুতলা আউটলেট উন্নয়ন, লবণচরায় পাম্পিং স্টেশন ও আউটলেট গেট নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে।