Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 6:54 pm

একযোগে কাজ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, এনবিআর ও বিএসইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, কাউকে বাদ রেখে এগিয়ে গেলে হয় না। সবাইকে সঙ্গে নিয়েই এগিয়ে যেতে হয়। সবার অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে নীতি নেয়ার ফলেই আমাদের অর্থনীতি আজ এতটা শক্তিশালী হতে পেরেছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও পুঁজিবাজার আরও ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে বাংলাদেশে ব্যাংক, এনবিআর ও বিএসইসি একসঙ্গে কাজ করছে বলে জানান তিনি।

গতকাল সোমবার বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটসের (বিএএসএম) আয়োজনে ‘মুদ্রানীতি জানুয়ারী-জুন ২০২৩: অর্থনীতি ও পুঁজিবাজারের ওপর সম্ভাব্য প্রভাব’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান। অনুষ্ঠানে বিএসইসির চেয়ারম্যান, কমিশনাররা ও সব কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন।

বিএসইসির চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী খুব ভালোভাবে দেশ চালাচ্ছেন, সবকিছু দক্ষভাবে ব্যবস্থাপনা করছেন। সবকিছু ভালো রেখে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং দেশের উন্নয়নে উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।

সাবেক গভর্নর ও অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান মুদ্রানীতির গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বলেন, মুদ্রানীতির সঙ্গে দেশের অন্যান্য সব নীতির গভীর সম্পর্ক রয়েছে। দেশের বিভিন্ন নীতির মাঝে সমন্বয় দরকার। তিনি পুঁজিবাজারের জন্য মুদ্রানীতির সিদ্ধান্তগুলোর তাৎপর্য, বাসেল-০৩-এর কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করার সম্ভাবনা, সরকারি বন্ডের বাজার তৈরিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির যৌথ উদ্যোগ, গ্রিন ফাইন্যান্সিং প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি পুঁজিবাজারকে যথার্থ সক্রিয় করতে প্রয়োজনীয় দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপগুলো সবার সামনে তুলে ধরেন। তিনি বছরে দুবার মুদ্রানীতি ঘোষণার সংস্কৃতি আবার চালু করার জন্য সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে ধন্যবাদ জানান। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সূচনা বক্তব্য দেন বিএসইসি’র কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারকে ভালো করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকা রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকনীতি সহায়তাসহ মনিটরিংয়ের জায়গা থেকে সহায়তা করতে পারে।’ তিনি তথ্য-উপাত্তের ওপর গুরুত্বারোপ করে ব্যাপক গবেষণাভিত্তিক উদ্যোগ নেয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা ব্যক্ত করেন। তিনি অর্থনৈতিক দিকগুলোর পাশাপাশি কৃষি ও এসএমইসহ সব খাতে যাতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছড়িয়ে পড়তে পারে, সেদিকে লক্ষ রাখার কথা বলেন।