এক শতাংশ ভোট পড়লেও আইনগতভাবে নির্বাচন সঠিক: সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ৯৯ শতাংশ ভোট না পড়লেও শুধু এক শতাংশ ভোট পড়লেও আইনগতভাবে নির্বাচন সঠিক হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তিনি বলেছেন, ‘লেজিটেমেটির (বৈধতা) ব্যাপারটা ভিন্ন হতে পারে। কিন্তু আইনত নির্বাচন সঠিক হবে। আমরা লেজিটেমেসি নিয়ে মাথা ঘামাব না। নির্বাচনের লেজিটেমেসির বিষয়টি নিয়ে ইসি ফাইট করবে না। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক সমাজ ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব ফাইট করবে। আমরা দেখব, ভোটটা অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে কি না।’

নির্বাচন ভবনে ‘অবাধ ভোটাধিকার, প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা’ শীর্ষক বৈঠকের সমাপনী বক্তব্যে গতকাল বুধবার তিনি এসব কথা বলেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। পোলিং এজেন্টের ভূমিকা যদি যথাযথ হয়, তাহলে ভোটে কারচুপি পরাভূত করা সম্ভব।’

কার্যকরভাবে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হলে ইসির দায়িত্ব কমে যায় উল্লেখ করে সিইসি বলেন, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হলে আমাদের অল্প একটু রেফারির ভূমিকা থাকবে। কনটেস্ট হবে রাজনৈতিক দলের মধ্যে। ওরাই ওদের অবস্থানটাকে সুদৃঢ় রাখবে। ইফেকটিভ কনটেস্ট হলে ভোটকেন্দ্রের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি ভারসাম্য সৃষ্টি হয়ে যায়। তখন আমাদের দায়িত্ব কমে আসে। আমরা দেখতে চাই, নির্বাচনের দিকে ভোটাররা এসেছেন। তারা লাইনে দাঁড়িয়েছেন। ভোটকেন্দ্রে ঢুকছেন।’

নির্বাচনে কারা অংশ নিয়েছে কি নেয়নিÑএটি ইসির মাথাব্যথা নয় বলে মন্তব্য করে সিইসি বলেন, ‘কে এলো কে এলো না, সেটা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাবো না। ব্যাপকসংখ্যক ভোটার এসে যদি ভোটদান করে, তাহলে আমরা সেটাকে অংশগ্রহণমূলক বলতে পারি। আমাদের দায়িত্ব নয় কাউকে নির্বাচনে নিয়ে আসা। তবুও আমরা নৈতিকতার অবস্থান থেকে অনেকবার দাওয়াত দিয়েছি। আসুন, আমাদের সঙ্গে চা খান। ডিইও লেটার পর্যন্ত লিখেছি। এর বেশি আমরা করতে পারছি না।’

একাধিক দিনে ভোটগ্রহণের পক্ষে মত দিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ৪২ হাজার কেন্দ্রে এক দিনে ভোট করা খুবই কঠিন। আপনারা যারা আছেন, তারা যদি মনে করেন নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারের চিন্তা করতে পারেন। এই চিন্তার বিষয়টি আপনাদের। এটা হলে আমরা আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব।’

সংলাপ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সবাই বলে থাকেন, সংলাপের মাধ্যমে একটা সমঝোতার প্রয়োজনীয়তার কথা। আমরাও বলেছি, সংলাপের মাধ্যমে সমাঝোতা করে যদি একটি অনুকূল পরিবেশ গড়ে উঠত, তাহলে আমাদের জন্য কাজটা সহজসাধ্য হতো।’ বাংলাদেশের নির্বাচন প্রশ্নে বিদেশিদের অবস্থান প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা মানি বা না মানি, বিদেশের কিছু লোক এখানে এসে কথা বলেন। অথচ আমরা আমেরিকা গিয়ে কিন্তু কথা বলতে পারছি না। এটার একটা কারণ হতে পারেÑআমেরিকা হয়তো শক্তিতে বাংলাদেশের চেয়ে বড়। ওরা আসছে আমাদের দেশে কথা বলতে। ওরা আমাদের সঙ্গে কথা বললে আমি খুব গর্ববোধ করি না।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০