ক্রীড়া ডেস্ক: একজন বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান হিসেবে তার পরিচয় পাওয়া গিয়েছিল আগেই। গতকাল সেই রূপই আবার নতুন করে দেখালেন এভিন লুইস। তার অপরাজিত ১২৫ রানে ভর করে সিরিজের একমাত্র টি-টোয়েন্টি ভারতে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
জ্যামাইকায় গতকাল ভারতের দেওয়া ১৯১ রানের লক্ষ্য নয় বল হাতে রেখে টপকে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলকে দুর্দান্ত জয় এনে দেওয়ার পথে ১২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন লুইস। দেশের জার্সিতে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে এটা তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ক্রিস গেইলের ১১৭ ছিল আগের সেরা।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ক্রিস গেইল ও ব্রেন্ডন ম্যাককালামের পর তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে দুটি সেঞ্চুরি পেলেন লুইস। তার আগের সেঞ্চুরিও ছিল ভারতের বিপক্ষে।
অনেক দিন পর জাতীয় দলে ফিরে জ্বলে উঠতে পারেনি গেইল। মাত্র ১৮ রানেই ফিরে যান সাজঘরে। যদিও এক প্রান্তে তার সঙ্গী লুইস ছিলেন বিধ্বংসী। যে কারণে গেইলের পারফরম্যান্সের কোনো প্রভাব পড়েনি ক্যারিবিয়ান ব্যাটিংয়ে। ৮.২ ওভার স্থায়ী উদ্বোধনী জুটি ভেঙে গেইলের ফেরার সময় স্কোর বোর্ডে ছিল ৮২ রান। দ্বিতীয় উইকেটে দলকে জেতাতে মারলন স্যামুয়েলসকে নিয়ে লড়ে যান লুইস। এ জুটিতে অবিচ্ছিন্ন ১১২ রানের জুটিতে স্যামুয়েলসের অবদান ৩৬ রান।
এর আগে সাবিনা পার্কে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২৭ বলে কোহলির ৩৯ আর ১২ বলে শিখর ধাওয়ানের ২৩ রানে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়েছিল ভারত। সাত বছর পর টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমে ৪৮ রানে দিনেশ কার্তিক ফেরেন সাজঘরে। এরপর রিশাব পান্ত, মহেন্দ্র সিং ধোনি ও কেদার যাদবের দ্রুত বিদায়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। শেষের দিকে রবীন্দ্র জাদেজা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ব্যাটে ১৯০ রানে পৌঁছায় ভারত। কিন্তু বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে সফরকারীদের একাই হারিয়ে দিলেন লুইস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত: ২০ ওভারে ১৯০/৬ (কোহলি ৩৯, ধাওয়ান ২৩, পান্ত ৩৮, কার্তিক ৪৮, ধোনি ২, কেদার ৪, জাদেজা ১৩*, অশ্বিন ১১*; বদ্রি ০/৩১, টেইলর ২/৩১, উইলিয়ামস ২/৪২, স্যামুয়েল ১/৩২)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৮.৩ ওভারে ১৯৪/১ (গেইল ১৮, লুইস ১২৫*, স্যামুয়েলস ৩৬*; কুলদীপ ১/৩৪, জাদেজা ০/৪১)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৯ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: ১-০ ব্যবধানে জয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ম্যাচ সেরা: এভিন লুইস