প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা:সততা ও নৈতিকতা ছাড়া জীবনে সফলতা পাওয়া যায় না উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, ১৯৭১ সাল আমাদের গৌরবের। একাত্তরের চেতনাকে আমাদের মনে-প্রাণে ধারণ করতে হবে। গতকাল বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ছয়তলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, যদি কেউ আমাকে প্রশ্ন করে জীবনের সবচেয়ে ভালো দিনগুলো কোথায় কাটিয়েছি, জবাবে বলব সাতক্ষীরায়। সাতক্ষীরায় কাটানো দুই বছর জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় ছিল।
তিনি বলেন, আমি এক দিনে প্রধান বিচারপতি হইনি। এর পেছনে অনেকের অবদান রয়েছে। সবচেয়ে বেশি অবদান সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের শিক্ষকদের। বাবা-মা আমাদের জš§ দিয়েছেন, তবে শিক্ষকদের অবদান আমাদের জীবনে অনস্বীকার্য।
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক ছাত্র হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আরও বলেন, একাত্তরের চেতনা ধারণ করতে না পারলে ৩০ লাখ শহিদদের সঙ্গে বেইমানি করা হবে। আমরা যদি আমাদের দেশকে উন্নত করতে পারি, তবে আমাদের অন্য দেশে কাজ করতে যেতে হবে না।
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আমানুল্লাহ আল হাদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, জেলা ও দায়রা জজ চাঁদ মোহাম্মদ আব্দুল আলিম আল রাজী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
এর আগে প্রধান বিচারপতি সাতক্ষীরা জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিতব্য বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে মামলা জট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মামলার জট কমিয়ে জনগণ যাতে সহজে ন্যায়বিচার পায় সেজন্য বিচারক ও আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সারাদেশে ৪০ লাখ মামলা পেন্ডিং রয়েছে। এসব মামলা নিয়ন্ত্রণে আনা খুবই মুশকিল।