ঝুট-ঝামেলা থেকে সবাই রেহাই পেতে চান। অনেকে তাই একাকী ঘুরে বেড়াতে চান। কেননা নিজের মনের মতো করে একাকী ঘুরে বেড়াতে অনেকে পছন্দ করেন। এর অনেক উপকারিতা রয়েছে।
নিজের মতো করে থাকা যায়: একাকী ভ্রমণে অনেকটা স্বাধীনতা পাওয়া যায়। নিজের মতো করে বের হওয়া যায়। ভ্রমণকালে যে কোনো যানবাহনে চড়ে যাওয়ার সময় ইচ্ছামতো বই পড়া যায়। পছন্দমতো খাবার খাওয়া যায়। সবক্ষেত্রে নিজের ইচ্ছেটাকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া যায়।
সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুশীলন বাড়ে: একাকী ভ্রমণের বেলায় সব সিদ্ধান্ত নিজেকে নিতে হয়। ফলে এ অভিজ্ঞতা অনুশীলন ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করে। কারণ সবক্ষেত্রে নিজের সিদ্ধান্ত নিজেকেই নিতে হবে। এটা বেশ বড় একটি অভিজ্ঞতা।
মানুষ পর্যবেক্ষণ: দেশ কিংবা বিদেশ যেখানেই ভ্রমণে যান না কেন, আপনাকে বিভিন্ন ধরনের বহু মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে। এতে বিভিন্ন ধরনের মানুষকে পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ থাকে এবং তাদের আচার-আচরণ ও অন্যান্য বিষয় লক্ষ্যও করা যায়।
আলাপ-আলোচনা: ভ্রমণে একা থাকলে বিভিন্ন ধরনের মানুষের সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছা করবে। এ সুযোগে তাদের বন্ধু হওয়া যাবে। তাদের মনোভাব, সংস্কৃতি প্রভৃতি বিষয় জানার সুযোগ থাকবে।
চাপমুক্ত ভ্রমণ: ভ্রমণের সময় যদি পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন প্রভৃতি থাকে তাহলে তাদের চাপে অনেক সময় ব্যস্ত থাকতে হয়। ফলে উপভোগ করা যায় ভ্রমণের সময়টুকু। তাই চাপমুক্ত ভ্রমণ করতে চাইলে একাকী ভ্রমণ করতে পারেন।
আরাম করা: ভ্রমণ মানে শুধু পাহাড়ে চড়া কিংবা কষ্টকর জার্নি নয়। আরামও করা যেতে পারে। নিজের ইচ্ছেমতো হোটেল কক্ষে আরামে সময় কাটিয়ে দেওয়া যায়। ভ্রমণকালে নিজের ইচ্ছেমতো বিশ্রামও করা যায়।
নিজের খুশিতে চলা: একা ভ্রমণে গেলে ভিন্ন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো বা যে কোনো সংস্কৃতিতে যোগ দেওয়া সহজ হয়। সঙ্গী কেউ থাকলে তার ইচ্ছেকেও প্রাধান্য দিতে হতো, ফলে এই বিষয়গুলো সহজ হতো না। আর যদি একা থাকা যায়, তাহলে নিজের খুশিতে আনন্দ করা যাবে।
