একীভূত হচ্ছে বিএসআরএম লি. ও বিএসআরএম স্টিল মিলস

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস (বিএসআরএম) লিমিটেড এবং বিএসআরএম স্টিল মিলস লিমিটেড একীভূত হতে যাচ্ছে। কোম্পানি আইন, ১৯৯৪-এর ২২৮ ও ২২৯ ধারায় কোম্পানি দুটি একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন ও হাইকোর্টের সম্মতিক্রমেই একীভূত হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিএসআরএম লিমিটেড বর্তমানে তার সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিল মিলস লিমিটেডের ৪৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ শেয়ার ধারণ করছে। আর বিএসআরএম লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ সহযোগী এই প্রতিষ্ঠানটির শতভাগ শেয়ার অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ বিএসআরএম লিমিটেডের সঙ্গে বিএসআরএম স্টিল মিলস লিমিটেড একীভূত হতে যাচ্ছে। বিএসআরএম স্টিল মিলস লিমিটেডের সম্পূর্ণ শেয়ার অধিগ্রহণের জন্য বাকি ৫৫ দশমিক তিন শতাংশ শেয়ারের বিপরীতে বিএসআরএম লিমিটেড শেয়ার ইস্যু করবে।
এদিকে ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে প্রকৌশল খাতের এই কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে সাত টাকা ৮৮ পয়সা, আর ২০১৯ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৯৭ টাকা ৪৬ পয়সা। ওই সময় শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩৯ টাকা ৬২ পয়সা।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ১৯ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় চট্টগ্রামের শরনিকা কমিউনিটি সেন্টারে (১২ লাভ লেন) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ অক্টোবর।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ৩৬ শতাংশ বা ৯০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৬৫ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৬৫ টাকা ৪০ পয়সা। দিনজুড়ে এক লাখ ৮৭ হাজার ৮৮০টি শেয়ার ২৯৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ২৪ লাখ তিন হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৬৫ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৬৮ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৬১ টাকা থেকে ১০৭ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
এর আগের ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ১২ টাকা ৯৫ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ৬৩ টাকা ৭০ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ২৭৭ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এর আগের বছরও কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। ওই সময় ইপিএস হয়েছিল ছয় টাকা ৮৯ পয়সা ও এনএভি দাঁড়ায় ৫৫ টাকা ৭৫ পয়সা। ২০১৭ সালে মুনাফা হয়েছে ১৩৪ কোটি ৫১ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
প্রকৌশল খাতের এ কোম্পানিটি ২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৩৬ কোটি ছয় লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৭৯ কোটি ৭৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ২৩ কোটি ৬০ লাখ ৬৮ হাজার ২৩৭টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪০ দশমিক ৯৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ১৭ দশমিক ছয় শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ২২ দশমিক ৬৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত পাঁচ দশমিক পাঁচ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে আট দশমিক ৯৮।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০