Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 10:14 am

একুশে পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী: কোনোভাবেই যেন বাঙালির অর্জনগুলো নস্যাৎ না হয়

 

 

শেয়ার বিজ ডেস্ক: বাঙালি জাতির বহু ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত মহান অর্জনগুলো ভবিষ্যতে কেউ যেন নস্যাৎ করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গতকাল সোমবার একুশে পদক বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালি জাতির যখন যা কিছু অর্জন তা অনেক ত্যাগ আর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পাওয়া। কাজেই সেসব অর্জনকে আমাদের ধরে রাখতে হবে। কোনোভাবেই যেন এ অর্জনগুলো কেউ ভবিষ্যতে নস্যাৎ করতে না পারে, এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।’

গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে ১৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হাতে একুশে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। এ বছর (২০১৭) ভাষা আন্দোলন, শিল্পকলা (সংগীত, চলচ্চিত্র, ভাস্কর্য, নাটক ও নৃত্য), সাংবাদিকতা, গবেষণা, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সমাজসেবা, ভাষা ও সাহিত্যে এ পদক দেওয়া হয়েছে।

এবারের পদকপ্রাপ্তরা হলেন ‘অপরাজেয় বাংলার’ ভাস্কর সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ, প্রযুক্তিবিদ, গবেষক অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী এবং দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়, অধ্যাপক ড. শরিফা খাতুন, শিল্পকলায় (সংগীত) সুষমা দাস, ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম (বংশীবাদক, শাস্ত্রীয় সংগীত), জুলহাস উদ্দিন আহমেদ (স্বাধীন বাংলা বেতারের শিল্পী), শিল্পকলায় (চলচ্চিত্র) তানভীর মোকাম্মেল (লেখক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা), শিল্পকলায় (নাট্যশিল্পী) সারা যাকের, গবেষণায় সৈয়দ আকরম হোসেন, শিক্ষায় অধ্যাপক ইমেরিটাস আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও লেখক), সাংবাদিকতায় আবুল মোমেন, সমাজসেবায় অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান (আইপিজিএমআর’কে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী), ভাষা ও সাহিত্যে সুকুমার বড়–য়া (ছড়াকার), শিল্পকলায় (নৃত্য) শামীম আরা নীপা এবং শিল্পকলায় (সংগীত) রহমতউল্লাহ আল মাহমুদ সেলিম ওরফে মাহমুদ সেলিম (গণসংগীত শিল্পী, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডসহ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের প্রতিবাদকারী) এবং ভাষা ও সাহিত্যে (মরণোত্তর) কবি ওমর আলী।

সংস্কৃৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, বিচারপতি, সংসদ সদস্য, কূটনৈতিক মিশনের সদস্য, পদস্থ সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিজয়ী সবাই প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক গ্রহণ করেন। মরণোত্তর কবি ওমর আলীর পক্ষে পুরস্কার নেন তার ছেলে রফি মনোয়ার আলী।

প্রধানমন্ত্রী একুশে পদক বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘কথায় আছে, যে দেশে গুণীর কদর নেই, সে দেশে গুণীর জন্ম হয় না। আমরা গুণীজনদের তাদের প্রাপ্য সম্মান প্রদানের বিষয়ে আন্তরিক।’

এদিকে ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যা দিবস করতে সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করবে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে গ্রহণ করতে হবে এবং আন্তর্জাতিকভাবেও এর স্বীকৃতির জন্য আমাদের প্রচার চালাতে হবে। সে সময় যে জঘন্য ঘটনা ঘটেছে, তা মানব ইতিহাসে নজিরবিহীন। তা স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য।’