একে অন্যের পাশে থাকার বার্তা ট্রাস ও ঋষির

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ৫ সেপ্টেম্বর জানা যাবে যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম। এর আগে নির্বাচন ঘিরে বিতর্ক চলছে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী লিজ ট্রাস ও ঋসি সুনাকের। সাম্প্রতিক বিতর্কে লিজ ও ঋষি জানালেন, হেরে গেলেও একে অন্যের পাশে থাকবেন তারা। যিনি জিতবেন, তার মন্ত্রিসভায় অন্য জনের কাজ করতে কোনো সমস্যা হবে না। পারস্পরিক বিরোধ সরিয়ে নতুন নেতৃত্বকে মেনে নিতে কোনো অসুবিধা নেই তাদের।

উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ডের ডার্লিংটনে কনজারভেটিভ দলের সাম্প্রতিকতম বিতর্কে দু’জনকে সঞ্চালক জিজ্ঞাসা করেন, অন্য জন প্রধানমন্ত্রী হলে কি তিনি সেই মন্ত্রিসভার সদস্য হতে চাইবেন? এর উত্তরে সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রী লিজ ট্রাস একবাক্যে উত্তর দেন, অন্য জন যদি প্রধানমন্ত্রী হন এবং তাকে মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিলে তিনি এক বাক্যে সেই প্রস্তাবে রাজি হবেন।

সুনাক বলেন, আমাদের দু’জনের লক্ষ্য দল ও দেশের উন্নতি। সেই লক্ষ্যে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে কখনও পিছপা হব না। কনজারভেটিভ দলের বর্তমান এই দুরবস্থার জন্য জনসন দায়ী বলে জানিয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, কভিড-নীতি ভেঙে সরকারি বাসভবনে পার্টির জন্য দলের সাধারণ সমর্থকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন বরিস। তাই সুনাকের রাজনৈতিক পরামর্শদাতারা তাকে বুঝিয়েছেন, জনসনের সঙ্গে রাজনৈতিক দূরত্ব থাকা প্রয়োজন। যদিও সুনাকের রাজনৈতিক উত্থান জনসনের হাত ধরেই। মাসখানেক আগেও ওয়েস্টমিনস্টারের অন্দর থেকে শুরু করে টিভির লাইভ বিতর্কÑসবখানে সুনাকের মুখে শুধু বরিস-বন্দনা শোনা যেত।

৭ জুলাই ইস্তফা দেন জনসন। নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণার আগ পর্যন্ত তিনিই দল ও দেশের দায়িত্ব সামলাবেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০