নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি একমি পেস্টিসাইডস লিমিটেডের ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাববছরে মুনাফা কমেছে ৩৬ দশমিক ৪২ শতাংশ। আলোচ্য হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিটির প্রকাশিত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সমাপ্ত ২০২৩ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৬ পয়সা, আগের হিসাববছরে যা ছিল ১ টাকা ৫১ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৩৫ পয়সা, আগের হিসাববছরে যা ছিল ১৭ টাকা ৯৯ পয়সা। এছাড়া আলোচিত হিসাববছওে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫২ পয়সা। এদিকে ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আগামী ১০ জুন হাইব্রিড সিস্টেমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করেছে কোম্পানিটি। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ এপ্রিল।
কোম্পানিটি ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৫১ পয়সা। আর ৩০ জুন ২০২২ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৯৯ পয়সা। এছাড়া ওই সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ৪৭ পয়সা। এর আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ২ টাকা ১২ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ এনএভি দাঁড়িয়েছিল ১৮ টাকা ৪৮ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে দুই টাকা ৩২ পয়সা।
২০২১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া একমি পেস্টিসাইডসের অনুমোদিত মূলধন ১৫০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১৩৫ কোটি টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১০৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। মোট শেয়ারসংখ্যা ১৩ কোটি ৫০ লাখ। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৩১ দশমিক ৮০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২১ দশমিক ৮৪ ও বাকি ৪৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে এ শেয়ারের মূল্য-আয় (পিই) অনুপাত ১৪ দশমিক ৭ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ২৩ দশমিক ১৩।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৬ দশমিক ৭২ শতাংশ বা এক টাকা ৬০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২২ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ২৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৫টি শেয়ার মোট ২ হাজার ১২১ বার হাতবদল হয়। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২১ টাকা ১০ পয়সা এবং সর্বোচ্চ ২২ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২১ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ টাকা ৪০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
