নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেওয়ার ঘোষণা করেছে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি কোন লভ্যাংশ না দেওয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৩১ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা চার পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে তিন টাকা ৩০ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ১৫ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় অনলাইনে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ অক্টোবর।
গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর দুই টাকা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২৯ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৯ টাকা ৮০ পয়সা। ওইদিন ১৬ কোটি ১৩ লাখ ৯০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ৫৬ লাখ ৫২ হাজার ৮২৭টি শেয়ার মোট চার হাজার ১০৩ বার হাতবদল হয়। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ১৫ টাকা থেকে ৩৩ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির বিগত পাঁচ বছরে গড় হারে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক দশমিক ৪২ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়নসহ শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ৭২ টাকায়, যা পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া ১৬ দশমিক ৬৫ টাকা।
২০২০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে এন ক্যাটেগরিতে কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হচ্ছে। ৭৫ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৬৫ কোটি ১৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৩৪ কোটি ১১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ছয় কোটি ৫১ লাখ ৯৭ হাজার ৪৬৪ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৬০ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ১৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ২৪ শতাংশ শেয়ার।
এছাড়া কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২০) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২০ পয়সা। এই প্রান্তিকে করপরবর্তী মুনাফা হয়েছে এক কোটি ৭৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। তবে আইপিও পরবর্তী হিসাবে দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হবে ২৭ পয়সা।
প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন, ২০২০) করপরবর্তী মুনাফা হয়েছে তিন কোটি ২৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ইপিএস হয়েছে ৮৩ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে দুই কোটি ৮৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং ৭৪ পয়সা। আইপিও পরবর্তী হিসাবে ইপিএস দাঁড়ায় ৫০ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৪৬ পয়সা (আইপিও পূর্ববর্তী) এবং ১৫ টাকা আট পয়সা (আইপিও পরবর্তী)।